বেলায়েত মাছুম
,
  • বাড়ি
  • কবিতা
  • গদ্য
  • প্রযোজনা
  • সংযুক্তি
    • অ-কথা
    • সংকলন
      • অঞ্জন দত্তের গান
      • শাহ্ আব্দুল করিমের গান
      • কল্পকান্ত সদাই'র গান
      • অ-সংযোগ
    • ভ্রমণ
    • আমি
  • ISSUU
  • বই
    • আমাদের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার বিষয়ে
    • পাখীদের পানশালায়
কয়েক দিন আগে ভারতের চেন্নাইয়ে বন্যায় কবলিত এলাকার একটা ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ হয়, যেখানে দেখা যায় চেন্নাইয়ের রাস্তায় কোন বাঁধা ছাড়াই মুসলিমরা নামাজ আদায় করছে এবং অন্যরা দাড়িয় দেখছে। এই ছবিতে মানবতা বা মানবিক গুণের প্রকাশ হয়েছে কারণ মুসলিমরা কোন অসুবিধা ছাড়াই তাদের ধর্ম পালন করছে। এমন দৃশ্য বাংলাদেশেও দেখা যায় নিশ্চয়- যেখানে অন্য ধর্মের লোকেরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে এবং মুসলিমরা বলছে এটাই মানবতা কারণ অন্য ধর্ম পালনে তারা তো বাঁধা দিচ্ছেনা।

এই রকম মানবিকতার কোন দৃশ্য যখন আমার চোখের সামনে আসে তখনই মনে হয় এইসব জায়গায় আসলে নাগরিক অধিকার, সমান বিচার ব্যবস্থা বলতে কিছু আর অবশিষ্ট নাই। যারা দূর্বল, সংখ্যায় কম, তারা প্রসাশনিক তাচ্ছিল্যতার সাথে রাজনৈতিক অত্যাচারেরও শিকার হন। অথচ যারা সংখ্যায় কম, তারাও রাষ্ট্রর নাগরিক এবং সমান অধিকার, সমান বিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তারা পায় সংখ্যায় বেশি সবলদের কাছ থেকে অদ্ভুৎ মানবিকতা।

এখন আমার প্রায়ই মনে হয় মানবিক ভাব প্রকাশ কিংবা মানবতা রক্ষা করার প্রবণতা হলো সংখ্যায় যারা বেশি বা সবল, তাদের সৌখিন একটা গুণ। পৃথিবীর যত জায়গায় মানবতা রক্ষা করা হচ্ছে,  সব সব জায়গায় দূর্বল আর সংখ্যায় কমেরা মার খাচ্ছে এবং মরছে। কারা মারছে? অবশ্যই সবল এবং সংখ্যায় বেশিরা। যাদের কাছে অত্যাধুনিক মানুষ মারার যন্ত্র আছে, রাজনৈতিক শক্তি আছে। সেটা হোক বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকা কিংবা রাশিয়া বা সোমালিয়া।

আমার কাছে সবচেয়ে জঘন্য শব্দের একটি হলো সংখ্যাগুরু। এই শব্দ যেখানেই উচ্চারণ হোক না কেন মনে হয় সেখানে সমান অধিকার, সমান বিচার পাওয়ার অবস্থা নেই কিংবা তা পাওয়ার ব্যবস্থাও নেই। বিশেষ করে আমাদের মতো রাষ্ট্রে। অথচ কথা ছিল সংখ্যাগুরুরা জন্ম নিয়ে যে অধিকারে তার রাষ্ট্রে হাটে, ধর্ম পালন করে, সে অধিকারেই সংখ্যালঘুরাও হাটবে, ধর্ম পালন করবে কারণ এটাও তার রাষ্ট্র- জন্মভূমি।

সংখ্যাগুরু- সংখ্যালঘু, এই দুটো শব্দ মনে রাখতে চাইনা। মুছে দিতে পারলে- দিতাম। এই দুটো শব্দ যখনই উচ্চারিত হয় চোখের সামনে ভেসে উঠে অত্যাচার আর অবিচারের দৃশ্য, পাহাড় এবং সমতলের। যতদিন পর্যন্ত প্রসাশনিক কাঠামো ঠিক না হচ্ছে এবং সমান বিচার ব্যবস্থা কায়েম না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এরকম অত্যাচার, অবিচার এবং প্রহসনের মানবতা থাকবেই।

আমি ঠিক জানিনা কবে এমন দিন আসবে, যেদিন আমাদের রাষ্ট্র আমাদের হয়ে যাবে, আমরা সকলেই যার যার অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকব পাশাপাশি। আমরা মানুষ হয়ে যাব, অন্য কোন শব্দ দিয়ে আমরা আর বিভাজিত হবনা। আমাদের মানবিক গুণ প্রকাশ করব অন্য কিছুর প্রতি। এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে?



ওল্ডহাম
১৭/১২/২০১৫
এই যে আজ লিখছি, লিখতে পারছি, গতকাল হলেও লিখতে পারতাম কিন্তু ব্লগে পোস্ট করতে পারতাম না। এই এক বছর ধরে, এখনও, আমার সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে প্রিয় যন্ত্রটা গত দুই সপ্তাহ ধরে নষ্ট ছিল। এখন এই মূহুর্তে ঠিকঠাক কাজ করছে বলেই লেখা পোস্ট করতে পারলাম।

সাধারণ একটা যন্ত্র, ট্যাবলেট, যেটা আমার কাছে একমাত্র পড়ার উপায়। নতুন কিছু পড়তে এই যন্ত্রটা ছাড়া আর কোন মাধ্যম আমার হাতের কাছে নাই। আর মাঝে মাঝে যে দু'চার লাইন লিখছি তাও ঐ ট্যাবলেটেই। এমন অভ্যাস হয়ে গেছে যে এখন খাতায় লিখতে লাগলে মনে হয় হচ্ছেনা। মনে হয় কলমও ঠিকমত ধরতে পারছিনা। আবার খাতা, কলম সঙ্গে রাখতেওঅসুবিধা হয় কিন্তু একটি মাত্র ট্যাবলেট সাথে রাখলেই লেখা, পড়া ছাড়াও আরো অনেক কাজ অনায়াসে করা যায়। দরকার হলে অন্তর্জালেও ঢুঁ মারা যায়, যা প্রয়োজন নামিয়ে জমা করে রাখা যায়, পড়ে
সুবিধামত সময়ে ব্যবহার করতে।

দুই সপ্তাহ ধরে নষ্ট ছিল, মনে হয়েছিল অনেকদিন বুঝি হয়ে গেল। দু'জন মেকানিক কে দেখালাম, ঠিক হলনা, কিন্তু আজ এমিনতেই নিজে নিজে ঠিকহয়ে গেল। অবাক হয়েছিলাম এবং সত্যিই ভাল লাগছিল, আমার এখনকার সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গীকে ফিরে পেয়ে।

এখন ট্যাবলেট ঠিকমত কাজ করছে, কিন্তু আর কয়দিন করবে, ঠিক নাই। সবকিছুরই নির্দিষ্ট সময় আছে চলবার, যখন সচল থাকার শক্তি কমতে কমতে একেবারে শুন্য হয়ে যায়, তখন থেমে যেতে হয়। আর যদি একেবারে থেমে যায়, ট্যাবলেট নতুন একটা হয়তো কেনা যাবে কিন্তু পৃথিবীতে অনেক কিছুই আছে যা একবার থেমে গেলে আর সচল করা যায়না, নতুন করে কেনারও সুযোগ থাকেনা।



ওল্ডহাম
১৫/১২/২০১৫
বাতিকাতঙ্ক:১





১.
এক চিলতে হাসি, ঝলসে দেয়া রোদ
একটুখানি মান আর এতটুকু ক্ষোভ


২.
কাকটি ছিল বলে, কোকিল গেয়ে গেল
কাকটি ছিল বলেই কোকিল বসত পেল


৩.
তুমি চলা হাওয়ার বিপরীতে
তাই অদ্ভুৎ এক ঘ্রাণ
জড়িয়ে পড়ে আমার নাকে মুখে


৪.
নেতা আসলেন
নেতা হাসলেন
নেতা বললেন-
আমরা জনগণ
অতি সাধারণ


৫.
তবুও বর্ষা এলো শহরের কিনারায়
আর একটা শ্যামা পাখি
একা বসে রয় নির্জন সন্ধ্যায়


৬.
যে শহরে আমি আগুন্তুক
        সে শহর কি তোমার নয়
এই শহরে হিজল ঝরেনা
        তবুও পাখির কিসের ভয়


৭.
আয় ফিরে ঘর, মন, ফেরা কি হয়?
ফেরার কথা ছিল হায়, ছিল সংশয়






ওল্ডহাম/২০১৫
বেলায়েত মাছুম











শহরের কোন দেয়ালে তার নাম লেখা নেই-
অজস্র তারার সাথে সে জেগে আছে কি না, জানি না;
অদৃশ্য হাওয়ায় হয়তো ভেসে বেড়ায়
আমি তার চুলের ঘ্রান পাই- এই পথে যে চলে গেছে
একদিন তার ছবি জলের ভেতর দেখি

ঠোঁটের ভাঁজে কতদিন পুড়ে গেছে ফুল
হৃদয় শ্বশানে পড়ে থাকলাম পুড়বার আশায়-
শালিক পাখির মতো গেয়ে চলে হাওয়া

শহরের কোন দেয়ালে তার নাম লিখিনি
কেবল পাথর আর জল ভাঙার শব্দে  জেগে উঠি
কতদিন হেটে যাই বুকের পাড়ে-
কতদিন ঘুরতে গেলাম ভীষন একা-
দিন গুলো আর রাতের গন্ধ নিয়ে;
একদিন তার ছবি জমাট বাঁধে বরফ শহরে।




ওল্ডহাম/২০১৫

হুমায়ুন আহমেদ'র সব বই সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। পুরোনো বই
লাইব্রেরীতে পাওয়া যেতনা। তারপরও অনেক বই সংগ্রহ করে পড়তে
পেরেছি । নিচে আমার সংগ্রহে থাকা বইয়ের তালিকা দিয়ে দিলাম।
আরো অনেক বইয়ের সাথে এগুলোকেও আমার সম্পত্তি মনে হয়।



হুমায়ুন আহমদের বই


আমার প্রিয় বইয়ের নামের শেষে ( * ) চিহ্ন দেয়া।


  1. আজ আমি কোথাও যাব না
  2. আজ চিত্রার বিয়ে
  3. আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ
  4. আজ হিমুর বিয়ে
  5. অচিন পুর
  6. অঁহক
  7. আকাশ জোড়া মেঘ
  8. আমার আছে জল
  9. আমার ছেলে বেলা
  10. আমি এবং কয়েকটা প্রজাপতি
  11. আমি এবং আমরা
  12. আমিই মিসির আলি
  13. অন্ধকারের গান
  14. আঙুল কাঁটা জগলু
  15. অনন্ত নক্ষত্র বিথি
  16. ম্যাজিক মুনশি
  17. মানবী
  18. মাতাল হাওয়া
  19. মেঘ বলেছে যাব যাব *
  20. মেঘের ছায়া
  21. মিরার গ্রামের বাড়ি
  22. মিসির আলি আপনি কোথায়
  23. মিসির আলির চশমা
  24. ময়ুরাক্ষী
  25. মৃন্ময়ী
  26. মৃন্ময়ীর মন ভাল নেই
  27. নলীনি বাবু  B. sc
  28. নন্দিত নরকে
  29. নীল মানুষ
  30. নীল অপরাজিতা
  31. নির্বাসন
  32. ছেলেটা
  33. চক্ষে আমার তৃষ্ণা
  34. চলে যায় বসন্তের দিন
  35. দারুচিনি দ্বীপ
  36. দেবী
  37. দিঘির জলে কার ছায়াগো
  38. দ্বীতিয় মানব
  39. দৈরথ
  40. দরজার ওপাশে
  41. দুই দুয়ারী
  42. এবং হিমু
  43. এই আমি
  44. এই মেঘ রৌদ্র ছায়া
  45. এই, শুভ্র এই
  46. একজন হিমু ও ঝি ঝি পোঁকা
  47. একজন মায়াবতী *
  48. এই বেলা
  49. নিষাদ
  50. নিশীথিনী
  51. নবনী
  52. নক্ষত্রের রাত
  53. অমানুষ
  54. অপেক্ষা
  55. পাপ
  56. পাখি আমার একলা পাখি
  57. পারাপার
  58. পারুল ও তিনটি কুকুর
  59. পোঁকা
  60. প্রিয়তমেষু
  61. রুপা
  62. রুপার পালঙ্ক
  63. অন্যদিন
  64. আশাবরী
  65. অপরাহ্ন
  66. আসমানিরা তিন বোন
  67. আয়না ঘর
  68. অয়োময়
  69. বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল
  70. বাদশা নামদার
  71. বাঘবন্দি মিসির আলি
  72. বাসর
  73. বহুব্রীহি
  74. বৃহন্নলা *
  75. বৃষ্টি বিলাস *
  76. বৃষ্টি ও মেঘমালা *
  77. চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক
  78. ছায়াবীথি
  79. তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুঠির নিমন্ত্রণে
  80. উড়াল পঙ্খী
  81. কে কথা কয় *
  82. মধ্যাহ্ন *
  83. কোথায় কেউ নেই *
  84. তোমাকে
  85. রুমালী
  86. জলকন্যা
  87. এইসব দিনরাত্রি *
  88. কবি *
  89. হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
  90. মিসির আলির অমিমাংসিত রহস্য
  91. শ্রাবন মেঘের দিন *
  92. জোসনা ও জননীর গল্প *
  93. পেন্সিলে আঁকা পরী *
  94. রজনী
  95. শ্যামল ছায়া
  96. লিলুয়া বাতাস
  97. সবাই গেছে বনে
  98. আজ হিমুর বিয়ে
  99. আমাদের শাদা বাড়ি
  100. আমার আপন আঁধার
  101. এই বসন্তে
  102. চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস *
  103. একা একা
  104. একটি সাইকেল এবং কয়েকটি ডাহুক পাখি
  105. ইমা
  106. এপিটাফ
  107. ফেরা
  108. হিমু
  109. হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী
  110. হিমু এবং হার্ভারর্ড পিএইচ. ডি বল্টু ভাই
  111. হিমু মামা
  112. হিমু রিমান্ডে
  113. হিমুর আছে জল
  114. হিমুর বাবার কথামালা
  115. হিমুর একান্ত সাক্ষাতকার ও অন্যান্য
  116. হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম *
  117. হিমুর মধ্য দুপুর
  118. হিমুর নীল জোছনা
  119. হিমির রুপালী রাত্রি
  120. হলুদ হিমু কালো রেব
  121. হুমায়ুন ৫০
  122. ইস্টিশন *
  123. যদিও সন্ধ্যা
  124. যখন নামিবে আঁধার
  125. জল জোছনা
  126. জনম জনম
  127. জোছনাত্রয়ী
  128. কহেন কবি কালিদাস
  129. কুহুরানী
  130. কুটু মিয়া
  131. লীলাবতী *
  132. তোমাদের জন্য ভালবাসা
  133. মেঘের উপর বাড়ি
  134. মিসির আলি  UNSOLVED
  135. অপেক্ষা *
  136. অরণ্য
  137. প্রথম প্রহর
  138. প্রেমের গল্প
  139. পুফি *
  140. রোদন ভরা এ বসন্ত *
  141. রুপালী দ্বীপ
  142. সে আসে ধীরে
  143. সে ও নর্তকী *
  144. সেদিন চৈত্রমাস
  145. সবাই গেছে বনে
  146. সমুদ্র বিলাস
  147. শঙ্খনীল কারাগার *
  148. সৌরভ
  149. শুভ্র
  150. শুভ্র গেছে বনে
  151. তারা তিন জন
  152. তেঁতুল বনে জোছনা
  153. তিথির নীর তোয়ালে
  154. তিনি ও সে
  155. তিন পুরুষ
  156. তোমাদের এই নগরে
  157. তন্দ্রাবিলাস
  158. হিজিবিজি



ওল্ডহাম/২০১৫
হাস ডাকে জলটাকে
জল বলে কৈ কৈ
দীঘি ভরা জল নাচে
সুর্যদের হৈ চৈ।


বর্ষাতে ব্যাঙ ডাকে
মেঘ করে ঘুড় ঘুড়
হাটু জলে ঢেউ ফুটে
বাতাসে সুড় সুড়।


কানা বক সাদা বক
উড়ে পানকৌড়ি
পাল তুলে নাও ভাসে
সবুজের দেউরী।


বাঁশ ঝাড় ফুল বনে
আয় মেঘ বৃষ্টি
দেয় দোল জবা ফুল
আনন্দে সৃষ্টি।






ওল্ডহাম/২০১৫
    ১. ২০১৩ সালে রমজানে, ব্রাডফোর্ডের একজন আমায় জিগ্যেস করেছিলেন মুসলিম রা কেন এক হতে পারে না, এক মতে পৌছতে হলে কি করা প্রয়োজন? আমি কোন ভাল উত্তর দিতে পারিনি আমার দূর্বল ইংরেজী ভাষার জন্য। আমার মনে হয় সকলেই জানেন কেন মুসলিমরা এক হয় না, এক হতে পারেনা এবং এক হবেও না। একবার এই বিষয় নিয়ে আমার এক বন্ধুর সাথে কথা বলছিলাম, সে আমাকে একটা ছোট্ট ঘটনা বলল যেখানে সেও ছিল। সে একটা দোকানে কাজ করে এবং একজন সহকর্মী মুসলিম। রমজানে ইফতারের সময় হলে দেখা যায় তারা দুই জন ২০-২৫ মিনিট ব্যবধানে ইফতার করে, তা দেখে অন্য ধর্মের এক সহকর্মী বলল- " তোমরা দু'জন মুসলিম, একই দেশ এ থাক, একই ভাবে রোজা রাখ অথচ দুই সময়ে খাও এটা কেন?" তারা দু'জন জানালো যে তাদের দেশীয়দের অনুসরণ করে বলে এমন হচ্ছে। তখন ঐ সহকর্মী আবার বলল "যেখানে তোমরা দু'জন এক হতে পারছোনা সেখানে পৃথিবীর কোটি কোটি মুসলিম কেমন করে এক হবে।" তারা কোন উত্তর দিতে পারে নি। শুরু থেকেই মুসলিমরা ভিন্ন ভিন্ন মতে বিভক্ত  কিন্তু কেন?

   ২. আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে ভিন্ন ভিন্ন রঙের, ধর্মের মানুষ বাস করেন।কালো, বাদামী, সাদা মানুষ সকলেই থাকেন। এদের কেউ মুসলমান, কেউ হিন্দু, কেউ খৃষ্টান, কেউ শিখ আবার কারো কোন ধর্মই নেই। দেখা হলে কথা বলেন, কুশল বিনিময় করেন। যার যার মত করে যাপন করেন। কারো কোন অসুবিধা হচ্ছেনা। এখানে বলতে পারি কোন সাম্প্রদায়িকতা, বর্ণবাদ নেই। আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কি এমন ছিলাম, উত্তর না। আমাদের দেশের সাথে মিলালে অনেক পার্থক্য চোখে পড়ে। কেন এমন হলো? আমার মনে হয় এখানে রাষ্ট্রের আইন আমাদেরকে বাধ্য করেছে সাম্প্রদায়িক ও বর্ণবাদী আচরণ না করতে। আর তা একদিনে হয়ে উঠেনি, ধীরে ধীরে এই পর্যায়ে এসেছে। রাষ্ট্রের আইনগত দুর্বলতা নাগরিকদের সাম্প্রদায়িক ও বর্ণবাদী হয়ে উঠতে সাহয্য করে। আর এর সাথে ধর্মে বা অধর্মে অন্ধ অনুসরণ যুক্ত হলে তা আরো ভয়াবহ হয়ে উঠে। প্রয়োজন নাগরিক অধিকার আইনের যথাযথ প্রয়োগ, যা মানুষকে আরো মানুষ হয়ে উঠতে সহযোগিতা করবে।

   ৩. আমার একজন পরিচিত আছে যে কোন ধর্ম পালন করেনা। তারে একবার জিগ্যেস করলাম - এই যে আমরা যারা ধর্ম পালন করি সে সম্পর্কে তার মত কি। সে বলল "এটা যার যার ব্যাপার, কারো ইচ্ছে হলে ধর্ম পালন করবে, না হলে নাই। তোমার ধর্ম ভাল কি মন্দ সেটা তোমার দেখার, বুঝার বিষয়। এখানে আমার কিচ্ছু ভাবার নেই, আমার ধর্ম ভাল লাগেনা তাই ধর্ম মুক্ত।" কিন্তু আমাদের দেশের দিকে থাকালে দেখা যায় এখানে ধর্মে অধর্মে বিদ্বেষ, মারামারি খুনোখুনি লেগেই আছে। এরা সকলেই মানুষ অথচ এদের চিন্তা ভাবনা অমানুষের মত, যখন কথা বলে বিপক্ষকে আঘাত করে কথা বলে, একে অপরকে সহিংস হয়ে উঠতে সাহায্য করে। আঘাতপ্রাপ্ত হলে একে অন্যকে দোষারোপ করে। আর আমাদের রাষ্ট্র ক্ষমতাধারীরা বসে বসে আঙ্গুল চুষে। ধর্মী অধর্মী দুই পক্ষই সম্মানিত নাগরিক হলেও রাষ্ট্র তাদের অধিকার রক্ষায় কোন ভূমিকা রাখেনা।

      আমরা সকলেই মানুষ রুপে জন্মিয়া আরো বেশি মানুষ হওয়ার চেষ্টায় ব্রতি হই। একমাত্র মানুষকেই মানুষ হওয়ার চেষ্টা করতে হয়, নাহলে তার অমানুষে রুপান্তর ঘটে। প্রচেষ্টা থাক আরো বেশি মানুষ হওয়ার।
রাত কেন এত এত আঁধার নিয়ে নেমে আসে
নেমে আসে চোখের কোণে, বসে থাকে হৃদয় দরজায়
আঁধার হয়ে কে ছুয়ে যায় রাতের শরীর
জোনাকি আলোয় মুগ্ধ অবাক হাওয়ায়
রাত কে বলে দাও এক একলা বাদুর
উড়ে গেছে শুন্যে তার বেদনা নিয়ে।
রাত কেন এত আঁধার হয়
চাঁদের আলোয় ভরে উঠে পৃথিবী
হৃদয় জুড়ে আকাশ বসে থাকে
চোখের কোণে জোনাকি আলো।

কে তবে জাগে রাতের আলোয়
নদীর মোহনায়, হয়ে ব্যথায় আকুল
ঢেউয়ের তালে নেচে নেচে ঝাপ
ঘোলাটে জলে নিয়ে পিপাসী হৃদয়।

চাঁদ হয়ে জ্বলে উঠুক সব বিষন্ন আঁধার
ঘড়ির কাঁটায় ঝুলে রাতের শরীর।





ওল্ডহাম/২০১৫


আমরা বেরিয়ে পড়ি সমুদ্রের দিকে
এদিক ওদিক সবদিকে যাই,
সমুদ্রের পাশে পাহাড় আছে
আমরা শুয়ে থাকি সূর্যের মুখোমুখি।
ধুলো মেখে জাগিয়ে তুলি উম্
উত্তাপে শুনেছি বরফ গলেনা
গলে হৃদয় ও তার ধারক।
জলের ভেতর নাক রাখি, চোখ রাখি
পাখিও ডুবে যায় মাছের খুনে
সমুদ্রে শৈবাল ঘুমায়
প্রেম নিয়ে জেগে উঠে ঢেউ।
আমাদের শরীর নিয়ে ঘুরাঘুরি করি
শুয়ে থাকি সূর্যের মুখোমুখি
ঘরে ফিরি হৃদয় শুন্য হয়ে
আর ঠোঁটে চোখে লেগে থাকে লবণ রং।




ওল্ডহাম, ম্যানচেস্টার//২০১৫
নেই নেই নেই কিছু নেই
নেই বোধ , নেই দু:খ কোন
নেয়ার তবু আছে অনেক।

নেই রাত নেই অন্ধকার
যেই সেই চাঁদ ফের আবার
জানলায় বাঁধা নেই সে তার
নেই গল্প ঢের চমকাবার।
নেই শীত নেই ঝড়ের রাত
নেই চমকে উঠার বজ্রপাত
আঙ্গুল নেই ছুয়ে হাত
নেই সেসব স্পর্শে আর।

নেই ফুল নেই গন্ধ মুকুল
যেই সুবাসে ভ্রমর আকুল
নেই জানালায় বুদ্ধ চাঁদ
নেই হয়েছে সকল সাধ।





ওল্ডহাম/২০১৫

শহরে এক উন্মাদ এসেছে
আজ শহরে এক বদ্ধ উন্মাদ এসেছে
তার খোচা খোচা দাড়ি, লাল সাদা চুল
ধূলোর কবলে পড়েছে
এই শহরে বেশ বেমানান লেগেছে
তারে কোন খেয়ালে ধরেছে।

শহুরে উন্মাদ
বিষন্ন হাসি খুশি উন্মাদ এক
তার জ্বলে উঠা চোখ নিভে যায়
নিভে যায় শহরের আলোয়
বাতিঘরে কোন ঘর নেই বলে
ঘুমিয়ে পড়ে তার বুকের কাছে।

তার ধরপর করা বুকে
এই শহরের বেকুব হাওয়া লেগে থাকে।






ওল্ডহাম, ম্যানচেস্টার/২০১৫
শহরে নেমে এলো মেঘ
আর গ্রামের জলাশয়ে একদল পানকৌড়ি
সকলেই চাইল তাদের দলে,
আমি কোথাও ছিলাম না বলে
কাক হয়ে উড়ে বেড়াই।

একটা কোকিল এই পথ দিয়েই যাবে
কোন এক জানালায় নির্ঘুম চোখের ভেতর
সুবাস ছড়িয়ে দিবে জারুল ফুলের।

এই সব জানালায় লোহার গারদে
লেগে আছে কেবল বিষন্ন বাতাস।

বাতাসের কাছে প্রার্থনা,
একদিন এই কাক শরীর নিয়ে যাক
নিয়ে যাক শহরের দিকে
যে শহরে আমার হৃদয় থাকেনা
কেউ কেউ থাকে
যাদের আমি যার যার করে চিনিনা।





ওল্ডহাম,ম্যানচেস্টার/২০১৫


"জলভূমি"তে প্রকাশিত,১৪২২ নববর্ষ সংখ্যায়
আমাদের হাতে সময় ছিল
ঠোঁটের পাশে দাড়িয়ে কথা বলার
জোনাকিদের আড়াল করে গ্রীবার কাছে।
লাঠি খেলা ময়দানে আমরা ছিলাম না-
ধুলোর ভেতর হতে তার নাক উকি দিয়ে বলল
ও হে কুমার- জল ঢাল না কেন,
তুমি কারিগর হও চন্দ্র গৃহের
আর আমায় নিষ্পত্তি দাও
আমি ভিঁজতে চাই আরো পরিপাটি হয়ে।

আমার কথা বলা চোখ জেগে থাকে
সূর্যের দিকে নত হয়ে

নদীতে ঢেউ জাগে, সমুদ্রে
আমরা ভেসে বেড়াই
সন্ধ্যা যেমন নেমে আসে বিকেলের কোলে
বসি থাকি আঁধার হয়ে চন্দ্র গৃহে।







ওল্ডহাম,ম্যানচেস্টার/২০১৫
" এবং একুশ " ব্লগজিনে এ প্রকাশিত


      ছোটবেলার কথা খুব বেশি যে মনে পড়ে, এমন নয়। তবুও  মনে পড়ে, আহা!  কত সুন্দর আর সরল ছিল আমাদের জীবন। কতদিন পুতুল বিয়ে দিতে দিতে নিজেই বিয়ে করে ফেলতাম, মনে পড়ে  একবার আমার বউ বলল চারটা মরিচ আনতে, আমি চারটাই আনলাম। কি বকাই না খেলাম সে দিন, চারটার কথা বললেই চারটা নয়, পরিমাপ মতো আনতে হয়। নতুন বিয়ে করার ফলে মনে হয় বোকা বনে গেছিলাম। এইসব দিন বেশি দিন থাকেনা, তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায়। এই সময়ের অনেকেই হয়তো এমন স্মৃতি পাবেনা, তবুও স্মৃতি হবে সময়ের মতো করে। বড়দের সাথে যখন স্মৃতি নিয়ে কথা বলি- তারা বলেন তোমরা আর কি পেলে, আমাদের সময়ে কি না কি করেছি, তোমরা এসবের কিছুই পাওনি। হয়তো আমি বা আমরাও একদিন তাদের মতো বলব, আহ! ছোটবেলা, কি বেবুঝ শৈশব।

   অগ্রহায়ণ মাসের একটা দিন বিশেষ ভাবে পালন করা হয়, অনাড়ম্বর অনুষ্টান করে ধান কাঁটার সূচনা করা হতো। ঐ বিশেষ দিনের সকালে, ছোট ছেলে বা মেয়েকে কন্যা সাঁজিয়ে ক্ষেতে নিয়ে যাওয়া হত। আমার মনে পড়ে দুই বা তিনবার কন্যা সেঁজেছিলাম ঐ বিশেষ দিনে। একজনের কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয়, সাথে কি কি থাকত ঠিক  মনে নেই, তবে এটা মনে আছে যে পিতলের বদনায় পানি নেয়া হত। কন্যার সাথে চার-পাঁচ জন যেতেন, ক্ষেতে অনুষ্টান শেষে কন্যা এক মুঠো ধান কাটতো,আর এর মাধ্যমে বছরের আমন ধান কাটা শুরু হত।পরে ঐ এক মুঠো ধান ঘরে ধানের গোলা'র সাথে বেধে রাখা হত। বিকেলে করা হত চিতল পিঠা,লাউপাতার শাক দিয়ে গরম গরম খাওয়া, মনে হচ্ছে এখনো সে ঘ্রাণ পাচ্ছি।

    পৌষেও আমাদের একটা বিশেষ দিন ছিল। আমরা বলতাম "বুলাবুলি"। এই বিশেষ দিনের জন্য আমরা সকল উত্তেজনা জমিয়ে রাখতাম। বাজারে যেতাম, মাটির খেলনা কেনার জন্য, "বুলাবুলি" উপলক্ষে প্রতি বাজার বারে বসত খেলনার মেলা।বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট ছিলাম ষাঁড়, ঘোড়ার প্রতি। ঘটি-বাটি ও কিনতাম। শুধু মাটির খেলনাতেই ভরে যেতে ভাড়। বাজার থেকে ফেরার সময় গর্বে বুকটা ফুলে থাকত এই ভেবে সবচাইতে সুন্দর ও বেশি ষাঁড় - ঘোড়া আমার দখলেই। তবে ষাঁড়-ঘোড়ার দখল নিয়ে দুই ভাই যে মারামারি করতাম না এমন নয়, প্রায়ই ভেঙে ফেলতাম। সে দিন বিকেলে সবচেয়ে বেশি দখল যেত ঘরের গরুদের, কারণ গরুর রোগমুক্তির আশায় কলা গাছের "পাচল" দিয়ে পেঠানো হতো।পরে তা ছড়িয়ে পড়ত বাড়িময়- দাদা, দাদী, ভাবী এইসব রস সম্পর্কের মানুষদের উপর।তখন হুলুস্থুল লেগে যেত, কে কাকে পেঠাবে এ নিয়ে।

     একবার, চাচাত ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে পাঠানো হলো কুটুম আনতে। রওনা হলাম, সাথে ফুফাতো ভাই। পথে মেলা, ঘৌড় দৌড়, এটা ফেলে যাই কিভাবে, সিদ্ধান্ত নিলাম কয়েকটা দৌড় দেখেই চলে যাবো, একটার পর একটা দৌড় শেষ হয় কিন্তু দেখা শেষ হয়না। বিকেল হয়ে গেল কিন্তু বিশেষ আকর্ষণীয় দৌড় এখনো বাকি, এতগুলো দৌড় দেখতে পেরেছি, আর একটা দেখতে পারবোনা এমনতো হবার নয়। দেখা শেষ,সন্ধ্যাও আঁধার নিয়ে নামল। সে দিন আর কুটুম আনা হয়নি, বাড়ি ফিরে মিথ্যা বলেছিলাম কুটুম আসতে চান না।
  
    বৈশাখ মাস জুড়ে ছিল ফসলের উৎসব, মানুষের উৎসব। চারদিকে সোনালী ধান কাটার ধুম পড়ে যেত, সবাই ব্যস্ত থাকত ধান নিয়ে। বাড়ি ভরে যেত ফসলে, ঘ্রাণে, মানুষে।


   এমন আরো অনেক স্মৃতি আছে যা ভুলে গেছি বা ভুলেই যাচ্ছি,  আর এগুলো শুধুই সুন্দর স্মৃতিই নয়, গ্রাম বাংলা, বাঙ্গালীর সংস্কৃতিও। আমরা আমাদের ভুলে অনেক দূরেই যাচ্ছি, বিদেশী সংস্কৃতিকে অনুমোদন দিয়ে ভাবছি আমাদের সংস্কৃতি সম্মৃদ্ধ হচ্ছে। অথচ এটাই সত্য যে সংস্কৃতিই হলো একটা জাতির একমাত্র নিজস্বতা যা অন্যদের থেকে আলাদা করে চেনায়।






ওল্ডহাম, ম্যানচেস্টার /২০১৫


     


    
মুখোমুখি দাড়িয়ে আয়নার কাছে
যদি ইচ্ছে হয় চাঁদের মত জেগে থেকে তারাদের পাশে
চোখের আলোয় বিম্বিত ছায়া নিয়ে,
সব আলো নিভে গেলে
বেঁজে উঠে বিষন্ন আঁধার হয়ে
জুলেখা'র হার্প
ছড়িয়ে পড়ে সুর নীল নদের স্রোত হয়ে
চেনা জানা যত মেঘের শরীর নিয়ে

তারে তারে বেঁজে উঠে বেদনার গান
কত দিন, কত রাত গেল,
হাজার বছর ধরে সে সুর ভেসে বেড়ায়
মানুষের কাছে
মনের ভেতর কেবল বাঁজতেই থাকে
জুলেখা'র হার্প

হৃদয়ের দরজায় রাত নেই, নেই কোন বিকেল সন্ধ্যা

দিনে দুপুরে জেগে উঠে
বিরহী রাতের মত বিষন্ন চাঁদ
কান পেতে শুনতে থাকে নিশাচর যত

জুলেখা'র হার্প
বেঁজে উঠে শরীরের ভেতর
প্রাণহীন দেহে কোন শোক নেই
এইতো প্রেম,  তবু যেন সেই সন্ন্যাস যাপন।





ওল্ডহাম, ম্যানচেস্টার
এখানে এই দূর দেশে বৃষ্টি নামে
সে বৃষ্টি ছুয়না আমার হাত
বাতাসের বেগে জানালা কাঁপে
সে শব্দে মুগ্ধ হয়না রাত।
রাতের প্রহরী জেগে আছে তবু
কতকাল ধরে বাঁজেনা তার বাঁশি
গলা ছেড়ে সে গায় কি গান
শুনিনা সেই প্রহরীর কাঁশি-
যে কিনা রাত দুটোর পর
হুইসেল দিয়ে গান গেয়ে যেত
দাড়াত এসে জানালার পাশে
কি কর, কেমন আছো, দুটো কথা হত।

ভোরের পাখির গুন্জন শুনি
ঘুম ভাঙে সে শব্দেও মানি
তবু কেন যেন মনে হয়
সে শব্দ কই
যে সুরে মুগ্ধ আমি
ভেঁজা মাটির গন্ধ রয়।




পেরেস্টন,  ল্যাঙশায়ার
মনে হয় আবার সেদিনের মতো
খুড়াবো হিজল ফুল কুয়াশায় যত
হেটে যাবো বহুদূর সবুজের ভেতর
অপেক্ষায় থাকবে ততক্ষন ব্যস্ত শহর

না হয় আবার ডাকবে শালিকের দল
কিংবা একঝাক হাসের ভেঙে যাবে ঘুম
হয়তো পানকৌড়ি আবার দিবে ডুব
কেবল মনে পড়ে যাবে খুব
সূর্য কেমন দিয়েছিল জলের বুকে চুম

হয়তো সন্ধ্যা পাড় হয়ে যাবে
কিংবা লাল সূর্যটা তখনো জেগে রবে
ঘরে ফেরা হাসের দলের সাথে
লাল মোরগের আবার দেখা হবে



পেরেস্টন, ল্যাঙশায়ার
দেয়াশলাই বক্সের ভেতর কয়টা কাঠি থাকে
এসো একটি জ্বালাই
আরো একটি জ্বেলে আধখানা বিড়ি ধরাই।

পুড়ে যাক এই পোড়া শহর
দেয়ালে ঝুলে থাকুক ভস্ম হদয়
প্রেম দিয়ে করবো কি আর
চোখের জলে আগুন জ্বলুক।

একটা কাঠি পোড়াই আমি
একটা কাঠি বুকের উপর
বিড়ির মুখে চুমু দিয়ে
পুড়ে যাক এই পোড়া শহর।




ওল্ডহাম, ম্যানচেস্টার
একদিন গল্প হবে অনেক দিন আগের
সবুজ ঘাসের উপর বসে পড়তাম
আলতো করে ছুয়ে দিতাম বৃষ্টির শরীর।
কত হৈ চৈ ভেসে যেত ধূলোর ভিতর
ক্ষয়ে যাওয়া জুতো ফেলে এসে
পায়ে হেটে চলা, চাওয়া যত দূর।
রোদ মেখে সারা গায়
ঘামের গন্ধে বাতাস বিভোর,
ক্লান্ত চোখের শরীর মিত্র
ঝিম ধরা সময় জেগে উঠত হুংকারে,
মাঠের শরীর "আলগে" দিত
"চোকা" শিং নিয়ে তেড়ে আসা ষাড়।
আমরাও দৌড়ে পেরিয়ে যেতাম
সবটুকু ভয়ের সীমানা।
হয়তো একদিন কেউ বলে বেড়াবে
সেই হেটে চলা, ভয়, নির্মম জয়
কাজ ফেলে আসা মানুষের গল্প,
বিশাল ভিড়ের মাঠে গড়ে উঠা
ইট-পাথরের দখল শেষে
মনে পড়ে যাবে
মাঠ ছিল "ধর্মিনশা"
আর "বিছালের" নাম ছিল "রংবাজ"।


 সামহয়্যারইন ব্লগে:
শত কবির বন্দনা: আসুন একটি কবিতা লিখি পোস্টে লেখা। জানিনা ঐ বই বের হয়েছিল কিনা।
   মাঝে মাঝে মনে হয় এই সব গানের জন্যই বেঁচে থাকা আনন্দময় হয়ে উঠে,
গান শুনে কখনো আনন্দে ভেসে যাই, আবার একই গান শুনেও বিষন্নতায় নিজেকে হারিয়ে ফেলি।আনন্দ কিংবা বিষন্নতায়, যেভাবেই নিজেকে হারিয়ে ফেলিনা কেন এই সব গানের মাঝেই আবার নিজেক ফিরে পাই। বুদ হয়ে গান শুনতে থাকি, দূ:খ কষ্ট ভুলে যাই। ভীষণ একা মনে হলে গান শুনতে থাকি, এগুলোই হয়ে উঠে আমার বন্ধু,  প্রিয় প্রেমিকা। যদিও গানের বোদ্ধা নই, তবুও গানের মাঝে খুজে পাই অন্য আলো, একটা সাধারণ গানও অনবদ্য হয়ে উঠে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। এমনও দিন গেছে,  মনে হয়েছে  গান আমাকে বেঁচে থাকার আশ্চর্য বায়ু দিয়ে দাড় করিয়ে রেখেছে। আমি দাড়িয়েই আছি গানের জন্য। গানের কারিগরদের প্রতি কি এক শ্রদ্ধা,  ভালবাসা জাগে তা কাউকে বুঝাবার নয়, তাঁরা যে দরদ দিয়ে গান সৃষ্টি করেছেন,  তার মূল্য দেয়ার যোগ্য কেউ নাই বলেই আমি বিশ্বাস করি।

    গান যখন শুনতে থাকি মনে হয় আমি আর একা নই। পৃথিবীর পশ্চিমে যারা এসেছেন, পূব থেকে, তারা সকলেই ছিলেন কোলাহলের অংশ, পশ্চিমে পা রাখা মাত্রই তারা একা হয়ে পড়েন, এখানে পশ্চিমে পূবের মানুষ, যার এখনো গৃহের প্রতি টান রয়ে গেছে এরা সকলেই নিজের ভেতরে ভীষণ একা, হয়তো সবাই নয়।

   এখানে মানুষ খুব ব্যস্ত, কারো দিকে থাকানোর সময় নেই, এমনকি নিজের দিকেও। কিন্তু এখন আমার হাতে সময় অফুরান, সময় নিয়ে কাটাকুটি খেলি, নিজের ভেতরে হেটে হেটে ক্লান্ত হই, আবার নিজের কাছেই চুপটি করে বসে থাকি। শরীরে অসুখের বাসা, মনে জড়তা। মনে ব্যথা নিয়ে লেখালেখি করা যায়, কিন্তু শরীরে ব্যাথা নিয়ে সম্ভব হয়ে উঠেনা।গান মনের ঔষধ হলেও যাপনে কোন তদবির করতে পারেনা আমার বেলায়।তবুও আমায় প্রভাবিত করে বিভিন্ন ভাবে, নিজের ভেতরে ভাবনা জাগায়, আনন্দিত করে তুলে, বিষন্নতায় ভরে দেয় মন-পুকুর, এইবা কম কি।

   গানের ধরন যাই হোক না কেন, সকল গানের উদ্দেশ্য এক, মানুষকে সঙ্গ দেয়া। ফোক গান শুনে যেমন  ভাব জাগে ঠিক তেমনি হার্ড মেটাল রক ব্যান্ড  শুনেও আপ্লুত হই।তবে সকল গানই যে ভাবাবে এমন নয়। প্রথমত কথার উপর নির্ভর করে গান সঙ্গী হয়ে আমায় ভাবাবে কি ভাবাবে না, তারপর সুর ও যন্ত্র সংমিশ্রণ।আমার এমনই মনে হয়,যদিও আমি একজন সাধারণ শ্রোতা মাত্র।

      গান সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ভালবাসা।



কয়েকটি প্রিয় গানের কথা ও সংযোগ:
  
হাতে অফুরন্ত সময়, গান শুনি আর লিখি। পরে কবিতার মত পড়া যায়।  এই সকল গান যেন একেকটি দূর্দান্ত কবিতা, কেউ যদি শুনে না থাকে কবিতা বলেই মনে করবে। আমিও মাঝে মাঝে ভাবি না গাইলে তো এগুলো কবিতাই ছিল, আর যারা লিখেছেন তাঁরা তো কবিই।

১।
আমাদের একই  ভাষা
আমাদের একই দেশ 
সহজ সরল মায়া মমতায়
নাইকো যার শেষ


চোখ জুড়ানো ঘণ নিবিড়
গ্রামের শ্যামলীমায়
উদাস মনটা পাল উড়ায়
অলস পূবালী হাওয়ায়
ধীরে ধীরে আনে মনে
কি যে মধুর আবেশ
সেই সে দেশ
বাংলাদেশ
আমার জন্মভূমি


ষড় ঋতুর নানান রকম
লুকোচুরি খেলায়
জীবন সেথায় অফুরান
রংধনু সুখ ছড়ায়
হাজার নদীর কলতানে
কাটেনা যে রেশ
সেই সে দেশ
বাংলাদেশ
আমার জন্মভূমি



শিল্পী: অপি করিম
কথা ও সুর: ড. ফয়েজ কবির
সংগীত: নাদিম আহমেদ

সংযোগ: আমাদের একই ভাষা

২।
ভালবাসা শত যুদ্ধেও যেতা যায় না
ভালবাসা লুটতরাজ কীর্তিনাশা
একা মেয়েটার নরম গালের পাশে
প্রহরীর মত রাত জাগে ভালবাসা


ভালবাসা এক আজন্ম সন্নাসী
ভালবাসা ধ্যান মগ্ন তাপস যেন
শ্বাস-প্রশ্বাসে প্রাণয়ন পুরে নেয়া
প্রথাগত হয়ে আমায় ডাকছো কেন


ভালবাসা এক ক্ষ্যাপাটে জুয়ার নেশা
ভালবাসা সব বাঁজি ধরা নির্বোধ
শেষ ছালে হেরে যাবোই তবু আমি
আবার খেলব, চাইবই প্রতিশোধ


ভালবাসা এক উদ্ভট বাঁজিকর
ভালবাসা ছিল ইন্দ্রজালের রাজা
বোকা বনে যাই বারবার তবু বলি
পায়ে তোর প্রেমের গানটা বাঁজা



- কবীর সুমন

সংযোগ: ভালবাসা শত যুদ্ধেও যেতা যায় না


৩।

এই মিনতি করি তোমায় ছেড়ে যাইওনা
আমি তো জানিরে বন্ধু তুমি আপনা


আমি তোমায় ভালবাসি
মন্দ বলে পাড়া-পড়শী   বন্ধু
বলে বলুক যার যা খুশি
আমি শুনব না।


ছাড়িয়া সকলের আশা
করেছি তোমার ভরসা
মিটাও আমার প্রেম পিপাসা
নিরাশ কইরনা।


তোমায় না পাইলে যৈবনে
কি কাজ আমার কুল- মানে
তুমি বিনে পাগল মনে
আর কিছু চায় না।


আমি তোমারে পাইলে
বলে শাহ নূর জালালে
ইহকাল আর পরকালের
কিসের ভাবনা।


- শাহ নূর জালাল

সংযোগ: এই মিনতি করি


৪।

আমার সোনা বন্ধুরে, তুমি কোথায় রইলারে
দিনে রাইতে তোমায় আমি খুইজা মরিরে


প্রথম দেখার কালে বন্ধু কথা দিয়েছিলে
ভুলিবেনা মোরে  এ জীবন গেলে
যদি না পাই তোমারে আমার জীবনের তরে
সোনার জীবন অঙ্গার হইব তোমার লাইগারে


ভুলতে পার বন্ধু তুমি, আমি ভুলিনাই
মরণ কালে যেন বন্ধু একবার তোমায় পাই
যদি না পাই সেকালে, প্রেম যাইব বিফলে
তখন কিন্তু বলব আমি প্রেম কিছুই নারে


- মুজিব পরদেশী

সংযোগ: আমার সোনা বন্ধু রে


৫।


এই মধু মাসে তুমি নাই পাশে
কে খাবে গাছের পাঁকা আম রে প্রাণ শ্যাম


বৈশাখী ঝড়ে আমা কুড়াতে কেটেছে কত নিশী রাত রে বন্ধু
মিলে দু'জনে উতলা পবনে খেলিতাম প্রেমের খেলা রে বন্ধু
বিচ্ছেদের জ্বালা, অন্তর কালা, কেমনে বুঝাব তারে রে প্রাণ শ্যাম


প্রেম শিখাইয়া, মন ভুলাইয়া, রয়েছ কেন দূরে দূরে ও বন্ধু
আমি অভাগীনি, প্রেম ভিখারীনি, খুজি তোমায় দ্বারে দ্বারে ও বন্ধু
সসীমে অসীম, বলে ইব্রাহীম,দুয়ে মিলে এক ছিলাম রে প্রান শ্যাম


-মোহাম্মদ ইব্রাহীম

সংযোগ: এই মধু মাসে


৬।
          [এই  এত ছোট গানটা, এত ভাল লাগে যে বলে বুঝানোর ভাষা নাই।]

ফুলে ফুলে ঢ'লে ঢ'লে বহে কিবা মৃদু বায়,
তটিনী হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায়
পিক কিবা কুঞ্জে কুঞ্জে কুহূ কুহূ কুহূ গায়,
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়!

- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

সংযোগ: ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে



নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ হোম

Translate

বেলায়েত মাছুম

নির্বাচিত লেখা

মনে হয় আমি হাওয়া হয়ে যাই | বেলায়েত মাছুম

১. মনে হয় আমি হাওয়া হয়ে যাই। আব্বার কবরের পাশে অচেনা এক লোকের মতো বসে থাকি। ধীরে- দূর পাহাড় থেকে ভেসে ঘোরা মেঘের সাথে চলতে থাকি। ঘাসের সাথে ...

সেরা পাঁচ

  • ধান পাতারা উড়ে উড়ে যায় | বেলায়েত মাছুম
      হঠাৎ একদিন ধান পাতার কথা মনে পড়লো। ভাবি একদিন আমাদের বাড়ি থেকে  নেমেই ধানখেতের পাশে দাড়াই আর কয়েকটি ধান পাতা আমার মুখের উপর উড়তে থাকুক। ১....
  • সিলেটি ভাষায় কবিতা | আমারে কেউ কেউ পড়শি ভাবইন | বেলায়েত মাছুম
      ১. তুমার আত থাকি কুন্তা খাইলে তুমার চউখো চউখ পড়লে  আমি টাল অইজাই পাতা যেলা পরি থাকে ঘাসর উপরে মনো অয় আমিও পরি থাকি হারাদিন, বিয়ান থাকি হাই...
  • আমাদের দীর্ঘ সাক্ষাতকার বিষয়ে বই থেকে দশ কবিতা | বেলায়েত মাছুম
    নৈশ সভা নৈশ সভায় কোন গল্প হয় না পরস্পরের খোঁজ-খবর কিংবা পাখির কথা; নিশিতে যে ডেকে উঠে জানালার পাশে ঘাস কাটা যন্ত্রের শব্দ নিয়ে- তার কথা কোন...
  • দিনলিপি | বেলায়েত মাছুম
    ১. এইভাবে একদিন লিখে রাখি জানালার কথা, দক্ষিণের হাওয়ায় ভাসা ফুলের রেণু,পাখির পালক হতে গুনগুন আওয়াজ; শব্দের ভেতর কাঁপা শোভন আলো, পা...
  • গত হওয়া শীত কিংবা বসন্তের কবিতা গুচ্ছ | বেলায়েত মাছুম
    আজ ১লা ফাল্গুন। দেশে শীত শেষ হলেও শীতল ভাবটা নিশ্চয় রয়ে গেছে। ইংল্যান্ডেও শীত শেষ হয়ে আসছে, যদিও গত কয়েকদিন ধরে খুব ঠান্ডা আর ঝিরঝির তুষার...

গোলা । উগাড়

  • ►  2022 (6)
    • ►  ডিসেম্বর 2022 (1)
    • ►  নভেম্বর 2022 (1)
    • ►  অক্টোবর 2022 (1)
    • ►  জুলাই 2022 (1)
    • ►  মে 2022 (1)
    • ►  এপ্রিল 2022 (1)
  • ►  2021 (7)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2021 (1)
    • ►  জুলাই 2021 (2)
    • ►  জুন 2021 (1)
    • ►  মার্চ 2021 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2021 (2)
  • ►  2020 (9)
    • ►  অক্টোবর 2020 (1)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2020 (1)
    • ►  জুলাই 2020 (1)
    • ►  জুন 2020 (1)
    • ►  মে 2020 (1)
    • ►  মার্চ 2020 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2020 (2)
    • ►  জানুয়ারী 2020 (1)
  • ►  2019 (3)
    • ►  অক্টোবর 2019 (1)
    • ►  জুলাই 2019 (1)
    • ►  মে 2019 (1)
  • ►  2018 (5)
    • ►  ডিসেম্বর 2018 (1)
    • ►  জুন 2018 (1)
    • ►  মে 2018 (2)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2018 (1)
  • ►  2017 (6)
    • ►  আগস্ট 2017 (1)
    • ►  জুলাই 2017 (1)
    • ►  জুন 2017 (1)
    • ►  মার্চ 2017 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2017 (1)
    • ►  জানুয়ারী 2017 (1)
  • ►  2016 (8)
    • ►  ডিসেম্বর 2016 (3)
    • ►  জুলাই 2016 (1)
    • ►  জুন 2016 (1)
    • ►  মে 2016 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2016 (2)
  • ▼  2015 (30)
    • ▼  ডিসেম্বর 2015 (3)
      • এমন মানব সমাজ কবে গো সৃজন হবে?
      • ট্যাবলেট, প্রিয় সঙ্গী
      • বাতিকাতঙ্ক:১
    • ►  নভেম্বর 2015 (2)
      • শহরের কোন দেয়ালে
      • হুমায়ুন আহমেদ'র বইয়ের তালিকা: যেগুলো আমার সংগ্রহে আছে
    • ►  জুলাই 2015 (2)
      • বর্ষাতর
      • যাপনের ছিন্ন ভাবনা
    • ►  জুন 2015 (3)
      • রাত কেন এত আঁধার
      • আমরা বেরিয়ে পড়ি
      • নেই
    • ►  মে 2015 (7)
      • শহরে উন্মাদ
      • শহরে নেমে এলো মেঘ
      • গ্রস্ত-দশা
      • যেভাবে আমাদের হারিয়ে ফেলছি: স্মৃতি- সংস্কৃতি
      • জুলেখা'র হার্প
      • এখানে এই দূর দেশে
      • মনে হয় আবার
    • ►  এপ্রিল 2015 (6)
      • পোড়া শহর
      • একদিন গল্প হবে
      • গান বন্দনা ও কয়েকটি প্রিয় গানের কথা
    • ►  মার্চ 2015 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2015 (3)
    • ►  জানুয়ারী 2015 (3)
  • ►  2014 (8)
    • ►  নভেম্বর 2014 (4)
    • ►  অক্টোবর 2014 (4)
  • ►  2010 (17)
    • ►  আগস্ট 2010 (5)
    • ►  জুন 2010 (1)
    • ►  এপ্রিল 2010 (11)

বিষয়

অ-কথা অ-গদ্য কবিতা গান ছবি প্রেমের কবিতা ভ্রমণ English Poetry
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.


আপনার সাহায্য পেলে বিদ্যানন্দের কাজ আরো সহজ হবে। বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

অন্যজন

  • মীর রবি
  • মুনিরা মেহেক
  • মুরাদুল ইসলাম
  • সুহান রিজওয়ান

যোগাযোগ

নাম


ইমেল *


বার্তা *


Copyright By Belayat Masum | Designed By OddThemes | Distributed By Blogger Templates