কয়েকটা কুকুর ঘেউ ঘেউ করে
নির্লজ্জ পথের ধূলো তখনো বাতাসে উড়ে,
পড়শীরা সব নীরব ঘুমে
কেউ যেন এলো পথের মোড়ে।
পাহারাদার জেগে আছে এখনো
তার হাতের বাঁশি বাঁজে থেমে থেমে
এমন হয়নি কখনো
আজই কেবল বুড়ো লোকটা যাচ্ছে ঘেমে।
কে যেন অন্ধকারে লুকায়,
কালো মতো লোক
চুপিসারে পালাতে চায়,
তার নেশা- ঘুম হারা ঢুলু ঢুলু চোখ।
দু'হাত খালি আছে তবু
মনে হয় ছোরা পকেটে,
পাহারাদার বড়োর এমন হয়নি কভু
বুঝতে পারেনা ধরবে কি ঝাপটে?
পরদিন ভোরে পত্রিকা খুলে
বুড়ো লোকটা কেবল করে হায় হায়,
হতাশার হাতে টান দেয় চুলে
কালো গুন্ডা চলে গিয়েছিল ধীর পায়।
তোমার পথের পথিক হয়েছি পথ ভুলে,
কিছুই পাইনি তাতে, যা পেয়েছি তোমার চুলে।
শুধু তোমাকে দেখব বলে।
লেখার কাল:০৯/০৬/২০০৫
আমাদের মন্ত্রী মহোদয়রা যা বলেন তা যদি সত্যি হতো !
অর্থমন্ত্রী মাল সাহেব মুচকি হেসে বললেন, সিলেটে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সমস্যা নেই।
আর আমরা যা পেলাম তা শুধু তিনির মিষ্টী হাসি টুকুই।
ওনার কথা যদি সত্যি হয় তবে যারা মোমবাতি জ্বালিয়ে লেখাপড়া করে পরীক্ষা পাসের জন্য,
এবং বলে বিদ্যুৎ নেই বলে পড়া যাচ্ছেনা, তারা সবাই মিথ্যে বাদী, তারা শুধু মিথ্যে বাদীই নয়, জাতির ভবিষ্যৎ ও, আর মিথ্যে বাদী জাতির ভবিষ্যৎ কে দিয়ে কি জাতির উন্নয়ন বাবা যায়?
তাই আসুন আমরা মন্ত্রী দের মতো সত্যি কথা বলি, কেননা মন্ত্রীরাই জাতির আসল ভবিষ্যৎ!
অসাধারণ একটি বই, যেখানে ফুটে উটেছে শতাব্দী কাল ব্যাপি একটি পরিবার ও তার চারপাশ।
মার্কেস গবেষকের মতো দেখিয়ে দিয়েছেন মানুষ চিরকালীন নি:সঙ্গ।
এবং তা সত্যি ও বটে, আমি আমার নিজের দিকে তাকাই,দেখি এক নি:সঙ্গ, যা শুরু হয়ে ছিলো হয়তো জন্মের আগে কেননা আমার পিতা, পিতামহ, আরো আগের জন্মের স্বজনরা ও নি:সঙ্গ ছিলো, কালান্তরে
আমি নি:সঙ্গ বলে।
আজ সেই ১৫ই আগস্ট, যে দিনে বাংলা হারিয়ে ছিলো নেতাকে, আর বাঙালী হারিয়ে ছিলো ব্ন্ধুকে।
বঙ্গব্ন্ধু বাংলাকে,বাংলার মানুষ কে মুক্ত করে ছিলেন তার তেজদীপ্ত কন্ঠস্বর দিয়ে,
তিনি চেয়ে ছিলেন বাংলাকে, বাংলার মানুষকে মুক্ত করতে, শুধু পাকিস্তানের কাছ থেকে নয়, চিরকালিন মুক্তির জন্য, কিন্তু আজ শুধু বাংলা মুক্ত, বাংলার মানুষ এখনও মুক্ত নয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে বাংলার গণতন্ত্র পথ হারিয়েছে,সামরিক শাসক রা গণতন্ত্র লুন্ঠন করেছে আর
এখন দুটি ঘরে বন্দী হয়ে চিৎকার করছে, হাহাকার করে ধুকছে মৃত্যু যন্ত্রণায়, যে কোন দিন এর মৃত্যু হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা।
বঙ্গবন্ধু র খুনিদের বিচার করা হয়েছে, কিন্তু যারা বঙ্গবন্ধু কে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল, যারা বাকশাল
গঠনে পরামর্শ দিয়েছিলো, যারা গণতন্ত্র কে গলা টিপে মারতে চেয়ে ছিলো, তাদের বিচার কে করবে।
আমার সমাজ অন্য পৃথিবীর
এখানে বিশ্বাস মর্মর পাতা,
আর আমি অথিতি ডাকাত
দরজা দিয়ে ঢুকে, জানালায় পালাই।
সমুদ্রে নামি খেলতে ডুব সাঁতার
আর চাঁদের বুকে কলঙ্ক আঁকি প্রতিদিন।
স্বপ্নে আনতে চাই অথৈ বিভব
কল্পনা পালিয়ে বেড়ায় চশমার ফাঁকে,
প্রতিনিয়ত আমরা দংশিত হই
লাল-নীল আলো খেলা করে আমাদের চোখে,
সে চোখ গাঁথা থাকে আকাশ নীলে
এবং যাপন করি বিলাস আর অহম সহ।
কোন একটা কথা, যা হারিয়ে যায়
স্বপ্ন রঙিন হয় মুগ্ধতায়,
যদি হঠা(ত) কেউ বলে উঠো
“তুমি কোথায়” ?
কোন উত্তর দিতে পারবোনা
বলবো শুধু খুজোনা আমায়,
আমি হারিয়ে গেছি কেবল
মেঘ আর জোছনার ছায়ায়।
তবুও যদি জিজ্ঞেস করো
“আর কি পাবো না তোমায়” ?
পাবে, নিশ্চিত পাবে
তুমি, ধরে রেখো শুধু তোমার মায়ায়।
এ এমন এক গোধূলি
সূর্য অস্ত যাবে বলে বসে থাকি,
কেবল এক দূরন্ত মনের ভিতর হেটে
অবস বসে থাকা ইট গাথুনির উপর,
সেই কবে শেষ উর্বর জমির বুকে চাষ
কিংবা জোড়া বলদ ডেকে যাওয়া নিরন্তর,
আজ আর কিছুই করার নেই
বুকে পাথরের মতো চাপা স্বর কথা কয়
সময় দিয়েছে অবসর,
দু’হাত ভরে গোধূলী আলো
ঝাপসা চোখে করে খেলা
সুদীর্ঘ পথ বালুময়,
একটু পরেই নামবে সূর্য
আর ধরতে যাবেনা কেউ
শব্দের ভিতর একা বসে থেকে
প্রহর গুণে বয়সী পিতার চোখ।
ও মা তুই বলতে পারিস
এমন কেন হয়
চাঁদটা আমি ধরতে গেলে
দূরে সরে রয়,
জোনাক গুলো জ্বলে-নিভে
ও মা এমন কেন হয়।
চাঁদটা কি বন্ধু আমার
চলার পথে সঙ্গে যাবার
পথ দেখাতে জোনাক গুলো
কাঁটিয়ে সব অন্ধ-আঁধার।
জানি মা তুই বলতে পারিস
“ও রে আমার অবুঝ সোনা
শোনাই তোরে গল্প কথা
ঐ সব আমার নেই যে জানা।”
পারবেনা মা ভোলাতে আমায়
তোমার এসব গল্প কথায়
চাঁদ এবং জোনাক কথা
বলতেই হবে তোমায়।
তোমার জানালার পাশে যদি কাক ডাকে
কোন এক ভোরে
দেখো একবার পর্দা তুলে,
হয়তো একটা ভেজা কাক
বসে আছে ভয়ে,তোমর বেলকুনি ধারে।
ভেবে নিও আগের রাতে অনেক ঝড়বৃষ্টির সাথে,
প্রাণপণ লড়ে এক যোদ্ধাএ
সেছে পেতে তোমার আশ্রয়।
তোমার হাত কি বাড়িয়ে দেবে,
তুমি ভাববে কি একটি কাক
বেঁচে থাকুক মৃত্যু পর্যন্ত ,
নাকি হবেনা একটি কাকের জন্য মায়া ?
তোমার চোখের সামনে
যা পড়ে রবে, সে হারিয়ে যাবে,
হাত বাড়ালে আর পাবেনা
ঝড়ের রাতের পরে, জানালার পাশে
একটা ভেজা কাক ডেকে যাওয়া অবিরত।
কিংবা পাবে আবার খুজে
অচেনায়-অজানায়,
এমনিতো হয়, প্রতিদিন সূর্যদোয়
পথের ধূলো উড়ে ধুসর হয়।
যে পথ গেছে চলে শেষের পথে
এমনকি হয়, তা হারিয়ে গেছে।
জানি ও পাড়ে আলো
আর এখানে অন্ধকার করে খেলা,
যে পথে হাটতে থাকি
দু'চোখ ভরে পড়ন্ত বেলা
তবু যেতে হবে সীমাহীন দূর
পেরিয়ে পথ বন্ধু বন্ধুর।
আবার সবুজে বসে,আবার আমি
হাটতে থাকি,
ধূলোর ভিতর, ঘাসের উপর
পা ফেলি, হাত রাখি।
আবার আমি চলতে থাকি হারিয়ে যেতে
দাড়িয়ে থাকি পথের ধারে ছায়ার পাশে।
এমনি করেই আমার আমি
নিজের ভিতর যখন তখন
হারিয়ে গিয়ে ফিরে আসি।
বলো এবার কেমন করে
কাকটি তুমি তাড়িয়ে দেবে,
কত আর কাকতাড়ুয়া
টাঙিয়ে রাখবে তুমি,
মন কি তোমার বন-বিভাজন
কাকের দলে ধলিয়ে দেবে ?
মনের ভিতর জানালার পাশে
যে কাকটি থাকবে বসে
চায়না খাদ্য ভাজা পোড়া
তৃষ্ণায় তার জল লাগেনা
ডর ধরেনা তাড়িয়ে দেবার,
কাকটি চায় মনের খোরাক
থাকতে বসে তোমার ধারে।
জানালার পাশে আসলে কবু
দেখবে তুমি কাকটি আছে,
তাড়িয়ে দিতে যাবে তুমি
তবু কাকটি বসেই রবে !
তোমার ছায়ারে পাশে এনে রাখি
আমিও জেগে রই
তারাদের মতো সমুদ্র স্নানে নামবো বলে।
সারা চোখ মুখ জুড়ে
অপূর্ব দ্যোতি
যেমন ছড়িয়ে ছিল জোনাকিরা।
অস্পষ্ট আঁধারে হাত বাড়িয়ে
ছুয়ে দেই পাথরের শরীর,
জাগবে কিনা জানিনা
তবু জেগে রই, ডেকে যাই
তোমার ছায়ারে।
তুমিও কি, থাকো নি:শ্চুপ
নাকি হারিয়ে যাও সমুদ্র ঢেউয়ে
অপেক্ষায় কান্ত যে
তাই রেখে যাও তোমার ছায়ারে।
শোন- আজো সমুদ্রে নামিনি
তোমার দীঘির জলে নামবো বলে,
হয়তো বলবে, ‘তাই, তবে নামো
দেখি কেমন ডুব সাতার খেলতে পারো।’
খেলবোনা ডুব ডুব খেলা
পারবোনা সাতরে পাড়ি দিতে-তোমার দীঘির জল
কেবল ভিজিয়ে দিক
একটি স্নান কাতর হৃদয়।
শোন- এই যদি হয়,কালো চোখ ভ্রমর
আমি নেই তাতে,
তবু ডুবে রবো অনন্তদিন
মহাকাল ধরে,
আর যদি তোমার ইচ্ছেই হয়
তবে ডুবিয়ে মারো তোমার দীঘির জলে।
মোহ কি না জানি না
পড়ে থাকি কিংবা হারিয়ে যাই,
আমি বুদ অথবা পলাতক
যাই হই না কেন, তবু বলি তোকে-
তোর চোখ কেন কথা কয়
কেন সেথায় নদী বয় ?
আমায় হারিয়ে যেতে বলে
বুঝে ফেলি তাই
তোর নদীতে ভেসে যাই।
বল তোর ঠোঁট কেন এমন কাঁপে
কেন মুখে লাল ফুল ফুটে ?
সেই ফুল কাকে দিতে চাস
বুঝি তাই, তোর ভয়ে আমিও লড়ে যাই !
আমার দোষ তাতে
যদি ডাকাতি করি তোর মনের ভিতর ?
সে দরজা খোলা থাকে
আমি তাই ঢুকি অনায়াসে।
যখন তাকাই তোর পানে
দেখি মুখ জুড়ে হাসি খেলা করে,
অস্থির আমার মনে কাঁপন উঠে,
আর সে হাসি যতনে আগলে রাখি
বুকের বামপাশে, ভালবেসে।
হঠাৱ যখন ভীষন একা লাগে
মনে হয় নেই আমি, হারিয়ে গেছি
তোর মাঝে,
আর সব কিছু লাগে এলোমেলো, তখন
কবিতার পাতার মতন তোর হাসি
বুকের বামপাশ থেকে টেনে এনে
প্রাচিন কবির মতো পড়তে থাকি।
আমায় ভাবিসনে ভুল
তোর মুখ খানি ছবি হয়ে রয়,
আর সে হাসিতে ফুঠে ফুল
ছড়ায় সুভাস ইচ্ছে মতন
আমায় করে বিভোর।
যদি পারতাম তোর হাসি মুখ খানি
রাখতাম বাঁধিয়ে সোনায় মুড়িয়ে
প্রাসাদে পাহাড়ে দেয়ালে দেয়ালে।
পারিনা তাই তোর হাসি মুখ খানি
যতনে আগলে রাখি ভালবেসে
বুকের বামপাশে।