বেলায়েত মাছুম
,
  • বাড়ি
  • কবিতা
  • গদ্য
  • প্রযোজনা
  • সংযুক্তি
    • অ-কথা
    • সংকলন
      • অঞ্জন দত্তের গান
      • শাহ্ আব্দুল করিমের গান
      • কল্পকান্ত সদাই'র গান
      • অ-সংযোগ
    • ভ্রমণ
    • আমি
  • ISSUU
  • বই
    • আমাদের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার বিষয়ে
    • পাখীদের পানশালায়


২০১৮ সাল প্রায় শেষ, মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। এই বছরে আমার খারাপ দিক হলো যে প্রচুর মিথ্যে কথা বলতে হয়েছে। আর কিছুটা অসৎও হয়ে গেছি। আর ভাল দিক হলো শরীরের অসুখ কমছে এবং দু'চারজনের কাছে আমার মিথ্যা বলার অপরাধ স্বীকার করেছি। 

  গত কয়েক বছরের তুলনায় এই বছর অনেক গুলো বই পড়তে পেরেছি, প্রায় বিশটি হবে। আর সবচেয়ে কম লিখেছি- মনেহয় কেউ যদি অসৎ হয়ে যায়- মিথ্যে ডুবে থাকে- তার থেকে শিল্প দূরে চলে যায়।

জগতের সকল প্রাণী সুখি হোক।

১.
|| কার বাড়ি তুমি ফিরে যাবে ঘড়ি, বাতির ছায়ার নিছে
শুয়ে আছে ঝড়। অকাল পুরান সেই নদী তীর বেয়ে
তোমারেও যেতে হয় ঘর। কালো পাখির বাসা থেকে দূর- 
আগত ফুলের সুরভি ঝরে। পিনের মতোন এক তীব্র আঁধার, 
ছুয়ে যায় ঘড়ি সেই ম্লান ভোরে ||


২.
|| হাওয়ার কি সংসার হয়
পাতাদের মতো?
ঝরে যাওয়া দিনে
বরফ জমিয়ে সময়ের ঘরে।

পুরনো হাওয়া কল
পড়শী ধুতরা ফুল
মাতিয়ে ফিরে গেছে বনে।

বনেলা হাওয়ার ঘোর
ধুলোর ডানায় চড়ে
ওৎ পেতে রয়-
ওৎ পেতে রয়-
শব-গান গীতে ||


৩.
|| আমার হাতকে লোকে ভাবে মানুষের হাত
আর ইশ্বর ভাবেন তার নিজের

আমি ভাবি এক উদ্বিগ্ন পাখির স্মৃতি
পুরনো পিন্জিরায় সেই তোতার কথা ||

৪.
|| পাখিদের অভিনন্দন- তারা উড়তে জানে ||

৫.
|| মা পাখি পাতার গল্প বলে, হলদে পাতার- ঝরা পাতার-
একদিন বহুমুখী হাওয়ার চোখে চোখ রেখে ||


৬.
|| আমার আঙুল চুষে পরিচিত কেউ
আমার আঙুলে লেগে আছে অতি প্রাচিন দাগ
জামার ভাঁজ খুলে ডাকছে বিভোর কেউ
জানালায় সন্তুর মতো চোখ নিয়ে কে?

ভাঙা কর্পুরে মেতে আছে সে
হাওয়ায় কল কল ধ্বনি আর বিভাজিত ঘর
টুপটাপ জলের বাড়ছে অসুুখ;
সে তবে যেন কেউ নয় আর
আমার বাড়ছে দ্বিধা প্রতিপ্রহর।

তাপে সহিষ্ণু মাকড়ের জাল
চারপাশ ঘিরে-
চারপাশ ঘিরে-
সে আর আমি
আরো আধাঁর।

আমার আঙুল বেয়ে ঝরছে পাঁপড়
তার গতরে ফুটে আছে বনেলা ঘ্রাণ ||
দিনলিপি - বেলায়েত মাছুম



১.
এইভাবে একদিন লিখে রাখি জানালার কথা, দক্ষিণের হাওয়ায়
ভাসা ফুলের রেণু,পাখির পালক হতে গুনগুন আওয়াজ; শব্দের
ভেতর কাঁপা শোভন আলো, পাতার শরীর থেকে জোনাকীর বাণী,
লেখা হয় পাথর ঘষে সমুদ্র ভ্রমণ- শৈবাল শরীরে আঁচর মেখে।


২.
তার ভাল লাগা বলতে ছিল হৃদয়ের অসুখ। বিপন্ন আলোয় চোখ
ঢলতে ঢলতে যোগ দিত সন্ন্যাস যাপনের প্রাথমিক ভোজ সভায়।
ওখানে পাথর আর ফুল পরস্পর মুখোমুখি বসে। সে তার হৃদয়ের
ভাঁজ খুলে দেখায়- একটা বিষন্ন দেবদারু গাছ, কোনমতে বেঁচে থাকা
একটা পানকৌড়ি কেমন করে ছটফট করে জলের টানে।

নোনা জলে ঠোঁট ডুবিয়ে কোন পাখি চুমো খায়নি মাছের চোখে,যদিও
সকল নদীই সমুদ্রগামি। সে তার হৃদয় নিয়ে ভ্রমণে যায়, জলপথে।


এক ভোরে খবর পেলাম, সে চলে গেছে হৃদয়ের অসুখ নিয়ে।


৩.
এই গ্রীষ্মে গাছের পাতারা আবার জেগে উঠবে যদিও আমি শহর
ছেড়ে চলে যাবো অসুখ নিয়ে, কেউ মনে রাখবে না, হয়তো হাওয়ার
কাছে কিছু কথা- কিছু শব্দের প্রতিধ্বনি দেয়াল হতে দেয়ালে
অশরীর স্পর্শে কোন দিঘির স্ফটিক আয়নায় - ঝরে যাবো।


৪.
সমুদ্র স্নানে যেদিন যাই,  আকাশী গাছের  মতো দুলতে থাকি।


৫.
দারুণ এক টিভি পর্দা। ওখানে রান্না হয়, চেয়ার, দোর, বাগান বেড়ে
উঠে। জলোচ্ছাসে ভেসে আসা গল্পের জন্য অনুদান প্রাপ্ত নবিশের
চিতায় আগুন পোড়ানো হয়। চোখের ভেতরে যে সময়ের কাটা ঘুরে
তার নাম আমরা কোন নায়িকার নামে জানি, নায়কের নাকের কাছে
জমা রাখা ফুলের পাপড়িতে ঝুলে থাকা পিপড়ার চলন চিত্র দেখে ভ্রমণে
যাই -  এক  মৎসকন্যার কান্না মুছে দিতে।

৬.
শব্দটা জলজ। জলে জল পড়ার শব্দ। শব্দে দুলে উঠে দেয়াল। রাতে
অন্ধকার নামে। চাঁদ হাসিমুখে থাকায় । হাসের চোখের পাতায় ঘুম।
শালিক ডেকে উঠে। শেষ রাতে বাড়ি ফিরে চোর। শব্দটা জলের। পুকুর
পাড়ে মৌ দের ঘর। আমার নাকে ব্যথা। শ্মশানের চোখ নেই কোনো। ঘুম
পায় শুধু। সুপ্রভাত আমায়।

৭.
আয়নায় যারে দেখি, তার প্রসন্ন চোখ। পায়ের নকের কাছে স্হায়ী
মার্কারি দেয়া। লবণে স্নান শেষে বসে আছে আয়নার ভেতর। সুগন্ধী
আগরে অচেনা ভ্রমর ঘুরঘুর করে। জানালার ছায়ার পরতে জড়িয়ে
রাখা নিজস্ব খেতাব- চেনা যায় তারে।

যেভাবে ঘুমিয়ে পড়ার ভান করি, ঘুমের শব্দে জেগে উঠে ভাবি- ঘুমাই।

৮.
জানালায় দাড়ালেই দৃষ্টি পুড়ে, ছাই দানা ফিরে যেতে যেতে ফিরে
থাকায়। কবুতর শরীর হতে যে পালক মাটি ছুয়ে ঘুমোয়, মনে হয়
ঘুমায়, আমার দৃষ্টি কেবল দ্বীধায় পুড়ে।

৯.
ঘুমন্ত ঘড়ির ভেতর শুনা যায় রাখালিয়া বাঁশি। যাযাবর কোন এক
নিশাচর ডানায় মেতে উঠে উড্ডীন শহর। 

১০.
ঘাসের শরীরে জ্বর, তার কপাল নেই। মাপন যন্ত্র আবিষ্কারের গল্প
সে জানেনা। রোদকে এতদিন বন্ধু ভেবেছে, তাপদহে পুড়ার আগে
কোন হিসাব জমা-খরচের খাতায় লিখে রাখেনি।

১১.
ইদানিং চোখের রোগে ভোগী। ভ্রমণে গেলে সবুজের দিকে থাকাই।
যদিও ডাক্তার বলেছেন চিকিৎসা প্রয়োজন, বিদেশী হাসপাতালে।

১২.
শীত। ঝরা পাতার শরীর হয়ে নেমে আসে। এই শীত শহরকে ভালবাসে।
গ্রামের ভেতর দিয়ে হেটে যায় এক গ্লাস উষ্ণ চায়ের চুমু পেতে। 

১৩.
বৃষ্টির শব্দে মেতে আছে ফুল। আর কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে নাকি? 

১৪.
এখন ঘুমের আকাল। তবু ঘুম ঘুম চোখ, ভাঙার শব্দে মেতে থাকে।

১৫.
মৃত্যু দৃশ্যটা কল্পনা করা যাক- চারপাশে প্রতারিত হাওয়া
আর ভিতর বাহির শব্দ ভাঙার গুন্জন। 



© বেলায়েত মাছুম
     ২০১৫ - ২০১৭







Is that far from me
Sunshine
who is running away from him!

Tuning- one to null
Tuning- me to him

Is that far from doorstep
wider then belonging love 


© Belayat Masum













A winter Fog
always on my playground

A winter Morning passed away

Someone told- a greyhound
barking on my backyard

I am  just one of them
Who lied to himself
Who fall asleep in his own shadow


@belayatmasum





২০১০ সাল, আমার কবিতার জন্য ছিল দারুণ সময়। প্রতিদিনই কিছু না কিছু লিখতাম আর সামহয়্যার ইন  ব্লগে প্রকাশ করতাম। আমার কবিতার পাঠক তেমন ছিলনা, হাতে গোনা মাত্র। তবুও আমার খারপ লাগত না। কারণ আমি সব সময় চেয়েছি আমার কবিতার পাঠক কম হোক এবং এখনো আমি তেমনই চাই। এমনকি আমার বনধুরাও আমার লেখার পাঠক নয়। অনেক বনধুই জানেনা যে আমি লিখি। আমার ভাল লাগে এই রকম আড়াল থাকা। 

সেই সময়ের কিছু কবিতা এখানে, যেগুলো আমার কাছে খারাপ লাগেনা। ভাবছিলাম সম্পাদন করব কিনতু সেই সময়ের ভাষা ও শব্দের খেই আর পাচ্ছিনা। এখন যা লিখছি সম্পূর্ণ আলাদা।


শব্দে জাগেনা পাথর

শব্দে জাগেনা পাথর
তবু ঝর্ণার পানি ছল ছল করে
ডেকে যায় নিরবধী।
জাগায় উষ্ণতা সূর্যের উত্তাপ
উর্বর ঠোটের মতো ।
নেমে আসে পাহাড়ী ঢল
তার এলোচুল,আভায়িত মুখ
প্লাবিত করে বক্ষ সমতল।
প্রাচীন কবির মত বিভোর
ঘাস ফুল শিশিরের সাথে কথা বলা
নির্জলা নদী বয়ে চলে অবিরাম
পাহাড়ের ধার ঘেসে।



বিভাজিত শব্দে

বিভাজিত শব্দে কান পেতে রই
যদি শুনি আবার,
আমার যে শুনতে ইচ্ছে হয়।
নির্জন কোথাও কথা বলা
দেয়ালে দেয়ালে প্রতিধ্বনি হয়,
স্তব্ধ পাথরে আগলে বুক
শাসন করি দীর্ঘশ্বাস।
কোথাও কোন শব্দে চমকে উঠে
বাতাসে জানালার পর্দা নড়ে,
বুঝি ছায়া মুখ আসবে হঠাৎ
কাঁপিয়ে দিবে বুকটা পাষাণ।
শব্দের ভিতর শব্দ খুজি
শব্দ দিয়ে তোমার কথা
আমি কি আর তেমন বুঝি।



হঠাৎ কোথাও হতে

হঠাৎ কোথাও হতে আসি আমরা
জোনাকি পোকার মত কিংবা
তারার দেশ হতে রূপালী রাতের উপর
পা রাখি নির্বার উচ্ছাসে।
যখনই প্রশ্ন জাগে,রাতের নির্জনতা ভেঙ্গে
জানালার পর্দা তুলে দাড়াবো আমরা
দেখবো একটা চাঁদ,
কয়েকটা জোনাকি পোকা,
বিচ্ছিন্ন তারা গুলো আর কুয়াশা ভেঁজা ঘাস।
হয়তো আবার আমরা ভাববো-
স্মৃতির পিঠে চড়ে কৈশোর ঘুরে
কখনো বুঝিনি যার মানে,
হঠাৎ স্পর্শে জেগে উঠা এবং
রাত পাড় করে দেয়া।




হয়তো আরো একদিন 

হয়তো আরো একদিন গাইবো পাহাড়ী গান
বেসে যাবো জোয়ারে
ঝরা ফুলের মতো।
নি:সঙ্গ পাথরের সাথে হবে মিতালী
বলব কথা ঢেউয়ের সাথে,
শ্যাওলা কান পেতে রবে বন্ধুর মতো।
কারো জন্য অপেক্ষা নয়
নেই কোন প্রশ্ন- হুংকার
নেই ভয়,নেই প্রশ্রয়
আছে শুধু একধরনের অহংকার।



বিমুগ্ধ সোডিয়াম বাতির পাশে

বিমুগ্ধ সোডিয়াম বাতির পাশে
চমকানো চোখ, বুজে যায় এক সময়
মনে হয় ভোর হলো নির্লজ্জ রাতের।
ফিরবো বলে পথে
কতক্ষণ হাটলে ফেরা হয় জানি নে-
হয়তো ফুল গুলো সব ধ্রুব
কিংবা ঝরে শুকিয়ে হয়ে গেছে কঙ্কাল।
ফিরবো জানি-
ফেরার পথেই হাটছি,বহুপথ বন্ধুর
ঘাসফুল জঙ্গল,কান্তিহীন নির্ঘুম
জোনাকি পোকার মতোই।
হয়তো দু’একটা গাঙচিল জানাবে অভ্যর্থনা
কিংবা কোকিল উড়ে যাবে কাঁঠাল পাতায়,
নির্বোধ একা হেটে কতক্ষণ
পৌছে যাবো ফেরার ভিতর।



আমার বক্ষ সমতলে 

আমার বক্ষ সমতলে যে প্লাবন-
অনাবৃষ্টি যে ছিল কতকাল
কত পার্বণ বৈশাখ পেরিয়ে এসেছে এক আষাঢ়,
যখন ভিজব বলে বাড়িয়ে দেই হাত
ছুয়ে দেয় কোমল শীতলতা।
অবাক অপলক চোখ
খুজে ফিরে প্রার্থনা-
বাম পাশে যেখানে হৃদয় আছে
যেখানে স্পর্শে কাঁপন জাগে
হঠাৎ মনে হয় আর কিছু নেই
খুজে পায় অচিন জড়তা।
প্রাচীন কোন দেয়ালে পিঠ ঠেকে
শ্যাওলা বাড়িয়ে দেয় হাত,
ইটের ভাঁজগুলো কথা কয়
বাতাসে বাতাসে করে মাতামাতি
শুধু আমার মাঝে কোন্ এক নীরবতা।





অত:পর নির্লজ্জের মতো

অত:পর নির্লজ্জের মতো ডুবে থাকি
জানালার ফাঁক দিয়ে কুয়াশার ভিতর।
হেটে হেটে অনেক্ষণ কথা হয়
কুমারী রাতের সাথে,
যে এখনো হাসেনি চাঁদের আলোয়।
দূর্বার ঘাতকের বেশে
কিংবা কাঁটা ফুল দু’হাতে নিয়ে
অনেক্ষণ ধরে বসে থাকা,
বসে থাকা কথার ভিতর
মূহুর্তের কথায়,ব্যাথা বিলাসের কথায়,
তবুও নির্লজ্জের মতো ডুবতে থাকি
অহম ও বিভবের ভিতর।



বিচ্যুত পাথরের জলে 

বিচ্যুত পাথরের জলে পড়া শব্দ
নিখুত দেয়াল গাথুনির মতো
উতলে জেগে উঠা জোয়ার পানি
মনে হয় এক্ষুনি নামবে বৃষ্টি-
কিংবা জোছনা-জোনাকি আলোয়
করবো আরো একবার স্নান।
সূর্যের উত্তাপে বরফ গলেনা
তবু গলে,ঝরে,বেড়ে যায় পৃথিবীর তাপ।
হয়তো পৃথিবীতে গল্প হবে
এখানে একদিন ছিল সবুজ-পাখী
হতো গান,উল্লাস সংঘাত,প্রতিঘাত।



বয়সী পিতার চোখ

এ এমন এক গোধূলি
সূর্য অস্ত যাবে বলে বসে থাকি,
কেবল এক দূরন্ত মনের ভিতর হেটে
অবস বসে থাকা ইট গাথুনির উপর,
সেই কবে শেষ উর্বর জমির বুকে চাষ
কিংবা জোড়া বলদ ডেকে যাওয়া নিরন্তর,
আজ আর কিছুই করার নেই
বুকে পাথরের মতো চাপা স্বর কথা কয়
সময় দিয়েছে অবসর,
দু’হাত ভরে গোধূলী আলো
ঝাপসা চোখে করে খেলা,
সুদীর্ঘ পথ বালুময়
একটু পরেই নামবে সূর্য
আর ধরতে যাবেনা কেউ
শব্দের ভিতর একা বসে থেকে
প্রহর গুণে বয়সী পিতার চোখ।







এবং যাপন করি বিলাস আর অহম সহ

আমার সমাজ অন্য পৃথিবীর
এখানে বিশ্বাস মর্মর পাতা,
আর আমি অথিতি ডাকাত
দরজা দিয়ে ঢুকে, জানালায় পালাই।
সমুদ্রে নামি খেলতে ডুব সাঁতার
আর চাঁদের বুকে কলঙ্ক আঁকি প্রতিদিন।
স্বপ্নে আনতে চাই অথৈ বিভব
কল্পনা পালিয়ে বেড়ায় চশমার ফাঁকে,
প্রতিনিয়ত আমরা দংশিত হই
লাল-নীল আলো খেলা করে আমাদের চোখে,
সে চোখ গাঁথা থাকে আকাশ নীলে
এবং যাপন করি বিলাস আর অহম সহ।



অত:পর আমরা ফিরে আসি

অত:পর আমরা ফিরে আসি কথোপোকথনে
নিজেদের মধ্যে, যেখানে ছিল
সমুদ্র নীল জলরাশি, একঝাক চিল।
স্বপ্নের ভিতর হেটে ক্লান্ত হইনা
মগ্ন থাকি মাছরাঙার মতো,
তবুও আমরা গল্প থেকে গল্পে
বেড়িয়ে আসি অনাহুত জীবনের দেশে।
আমাদের চোখ সতেজ সরল
ভাবনা গুলো সূর্যের প্রখরতা ধরে
চাঁদের আলোয় অন্ধকার ভাঙ্গি,
জোনাক ধরি হাতের মুঠোয়
ফুলের সুভাসে আমরা বিমুগ্ধ কবি
এবং নির্জনতাকে হারিয়ে ফেলি যাপিত শব্দে।




ছবি:  @carasometimes





নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ হোম

Translate

বেলায়েত মাছুম

নির্বাচিত লেখা

মনে হয় আমি হাওয়া হয়ে যাই | বেলায়েত মাছুম

১. মনে হয় আমি হাওয়া হয়ে যাই। আব্বার কবরের পাশে অচেনা এক লোকের মতো বসে থাকি। ধীরে- দূর পাহাড় থেকে ভেসে ঘোরা মেঘের সাথে চলতে থাকি। ঘাসের সাথে ...

সেরা পাঁচ

  • ধান পাতারা উড়ে উড়ে যায় | বেলায়েত মাছুম
      হঠাৎ একদিন ধান পাতার কথা মনে পড়লো। ভাবি একদিন আমাদের বাড়ি থেকে  নেমেই ধানখেতের পাশে দাড়াই আর কয়েকটি ধান পাতা আমার মুখের উপর উড়তে থাকুক। ১....
  • সিলেটি ভাষায় কবিতা | আমারে কেউ কেউ পড়শি ভাবইন | বেলায়েত মাছুম
      ১. তুমার আত থাকি কুন্তা খাইলে তুমার চউখো চউখ পড়লে  আমি টাল অইজাই পাতা যেলা পরি থাকে ঘাসর উপরে মনো অয় আমিও পরি থাকি হারাদিন, বিয়ান থাকি হাই...
  • আমাদের দীর্ঘ সাক্ষাতকার বিষয়ে বই থেকে দশ কবিতা | বেলায়েত মাছুম
    নৈশ সভা নৈশ সভায় কোন গল্প হয় না পরস্পরের খোঁজ-খবর কিংবা পাখির কথা; নিশিতে যে ডেকে উঠে জানালার পাশে ঘাস কাটা যন্ত্রের শব্দ নিয়ে- তার কথা কোন...
  • দিনলিপি | বেলায়েত মাছুম
    ১. এইভাবে একদিন লিখে রাখি জানালার কথা, দক্ষিণের হাওয়ায় ভাসা ফুলের রেণু,পাখির পালক হতে গুনগুন আওয়াজ; শব্দের ভেতর কাঁপা শোভন আলো, পা...
  • গত হওয়া শীত কিংবা বসন্তের কবিতা গুচ্ছ | বেলায়েত মাছুম
    আজ ১লা ফাল্গুন। দেশে শীত শেষ হলেও শীতল ভাবটা নিশ্চয় রয়ে গেছে। ইংল্যান্ডেও শীত শেষ হয়ে আসছে, যদিও গত কয়েকদিন ধরে খুব ঠান্ডা আর ঝিরঝির তুষার...

গোলা । উগাড়

  • ►  2022 (6)
    • ►  ডিসেম্বর 2022 (1)
    • ►  নভেম্বর 2022 (1)
    • ►  অক্টোবর 2022 (1)
    • ►  জুলাই 2022 (1)
    • ►  মে 2022 (1)
    • ►  এপ্রিল 2022 (1)
  • ►  2021 (7)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2021 (1)
    • ►  জুলাই 2021 (2)
    • ►  জুন 2021 (1)
    • ►  মার্চ 2021 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2021 (2)
  • ►  2020 (9)
    • ►  অক্টোবর 2020 (1)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2020 (1)
    • ►  জুলাই 2020 (1)
    • ►  জুন 2020 (1)
    • ►  মে 2020 (1)
    • ►  মার্চ 2020 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2020 (2)
    • ►  জানুয়ারী 2020 (1)
  • ►  2019 (3)
    • ►  অক্টোবর 2019 (1)
    • ►  জুলাই 2019 (1)
    • ►  মে 2019 (1)
  • ▼  2018 (5)
    • ▼  ডিসেম্বর 2018 (1)
      • মুখস্ত স্মৃতি কিংবা বেলাঘাটে লীন | বেলায়েত মাছুম
    • ►  জুন 2018 (1)
      • দিনলিপি | বেলায়েত মাছুম
    • ►  মে 2018 (2)
      • Is that far from me
      • A winter Fog
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2018 (1)
      • বিভাজিত শব্দের সময় | বেলায়েত মাছুম
  • ►  2017 (6)
    • ►  আগস্ট 2017 (1)
    • ►  জুলাই 2017 (1)
    • ►  জুন 2017 (1)
    • ►  মার্চ 2017 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2017 (1)
    • ►  জানুয়ারী 2017 (1)
  • ►  2016 (8)
    • ►  ডিসেম্বর 2016 (3)
    • ►  জুলাই 2016 (1)
    • ►  জুন 2016 (1)
    • ►  মে 2016 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2016 (2)
  • ►  2015 (30)
    • ►  ডিসেম্বর 2015 (3)
    • ►  নভেম্বর 2015 (2)
    • ►  জুলাই 2015 (2)
    • ►  জুন 2015 (3)
    • ►  মে 2015 (7)
    • ►  এপ্রিল 2015 (6)
    • ►  মার্চ 2015 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2015 (3)
    • ►  জানুয়ারী 2015 (3)
  • ►  2014 (8)
    • ►  নভেম্বর 2014 (4)
    • ►  অক্টোবর 2014 (4)
  • ►  2010 (17)
    • ►  আগস্ট 2010 (5)
    • ►  জুন 2010 (1)
    • ►  এপ্রিল 2010 (11)

বিষয়

অ-কথা অ-গদ্য কবিতা গান ছবি প্রেমের কবিতা ভ্রমণ English Poetry
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.


আপনার সাহায্য পেলে বিদ্যানন্দের কাজ আরো সহজ হবে। বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

অন্যজন

  • মীর রবি
  • মুনিরা মেহেক
  • মুরাদুল ইসলাম
  • সুহান রিজওয়ান

যোগাযোগ

নাম


ইমেল *


বার্তা *


Copyright By Belayat Masum | Designed By OddThemes | Distributed By Blogger Templates