বেলায়েত মাছুম
,
  • বাড়ি
  • কবিতা
  • গদ্য
  • প্রযোজনা
  • সংযুক্তি
    • অ-কথা
    • সংকলন
      • অঞ্জন দত্তের গান
      • শাহ্ আব্দুল করিমের গান
      • কল্পকান্ত সদাই'র গান
      • অ-সংযোগ
    • ভ্রমণ
    • আমি
  • ISSUU
  • বই
    • আমাদের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার বিষয়ে
    • পাখীদের পানশালায়



ছবি সুত্র: অন্তর্জাল



মৃতদের দিক হতে উঠে আসি


মৃতদের দিক হতে উঠে আসি
গোটা দুই পায়রা হাতে
সন্ধি করব বলে,
ওগুলো মৃত কি না, তারা জিঙ্গেস করলেন?
পায়রা দুটোর চোখের দিকে থাকাতে বললাম
তারা খুব ভালবাসেন ওদের, জীবিত কিংবা মৃত
চোখগুলো সাদা,ঢেউ এর ফেনার মতো।
ইচ্ছে করে ডেকে তুলি,  চোখ মেলে দেখুক
এই সন্ধির সময়
কেমন ঘুর্ণি
বঙ্গোপসাগর হতে নদীর স্রোত
মৃতদের ডেকে আনে বুড়িগঙ্গার বৈঠকে।

মৃতরা পিছনে থাকায় না, পিছনেও মৃত
পল্টনে যাওয়ার সাহস নেই, তাই হাসপাতালের করিডোরে
মিছিল ভেঙ্গে জড় হই।

তবু মৃতদের দল থেকে হেটে  আসি
শহরের সোডিয়াম বাতির দিকে থাকাই
এগুলো নেভেনা কেন
আর একটা কাক এই রাতে
এই শহরে কোন পেঁচা নেই
ইদুর কিংবা দু'চারটে মানুষ?
জীবিত মানুষ, যারা জল কামানে স্নান করবে বলে
পল্টনের পথে হাটে।




তবুও আমরা বেঁচে আছি  এই শহরে

তবুও আমরা বেঁচে আছি  এই শহরে
বেঁচে আছি শরীর নিয়ে,শহরের প্রাণ হয়ে
কেবল মাংস আর রক্তে, কোন হাড় নেই।

আমাদের বেঁচে থাকা মানে দুধের সর
নাভীর নিচ কেবল আবরণে ঢাকা
নলকূপ থেকে জল পড়া দেখে
যেমন স্নান করে কৈতর পাখি।

আমাদের হাটতে হয়, কুকুরও হাটে
এই শহরে একই রাস্তায় বাদামী আলোয়
হাটা মানেই কি পায়ের ক্ষয়
রাস্তাও হাটে পায়ের তলে
তাই আমরা জনতা হয়ে উঠি!

প্রতিদিন চোখ মেলে দেখি একই আলো
ভাঙা আয়নায় মুখখানা দেখে
নিজেরে নিজেই ধর্ষণ করি।




মৃতবাস

এরা সকলেই ভাবল, এটা মৃত শরীর
যত দ্রুত সম্ভব স্নান দিয়ে,সুগন্ধি সাবানে
নিয়ে গেল বাড়ির উঠানে
শক্ত সামর্থ্যানুযায়ী কেউ কেউ এলো
কেউ ঘরে বসেই বউ-ঝির সাথে গল্প করে
যারা প্রার্থনা জানে,চলে গেল মসজিদে-মন্দিরে
যত পাপ ছিল, এইসব অপরাধের
ক্ষমা করে দিয়ে
কেউ শরীর নিয়ে গেল শ্বশানে
আর কেউ বয়ে চলে গোরস্থানে
অথচ তখনও বসেছিলাম
প্রেমিকার বুকে, মায়ের কোল জুড়ে।

তাদের কেউ জানেনা শরীরের ভেতর
একটা পোড়া রোগ এক বিকেলে আমায় ভীষণ কাঁদিয়েছিল,
জানি কাঁদতে নেই,
তবুও বেহুলার মতো কেঁদে
ঝুলে থেকেছি এই শহরের সরিসৃপ দ্বীপে।

এই দ্বীপ রাষ্ট্র আমায় ভুলে যেতে যায়
এই জলের কেউ নই আমি
এই শহরে কোন বাদুর জন্মেনি
ইদুরের হার বেড়ে যায় কেবল,
সুগন্ধী সাবানের দাম বেড়ে গেছে
এই সাবানে আর মোজা ধোয়া যায়না,
তেল আর জলের দিকে থাকালে নিজেকেই দেখি
খসখসে মুখ আর নাকের ছবি।

এখানে অনেকেই জেগে থাকে
শরীরের ভিতরে, নিজের লোম হয়ে
তাই দিন আসে মৃত্যুর
মরে যেতে হয় বাদুরের চোখ নিয়ে।




পথ

আমাকে তোমরা পথ দেখাতে পারো
নানাবিধ পথ, ডান কিংবা বামের
পাহাড়ের দিকে যে পথ চলে গেছে, সে দিকে-
সবুজ গাছগুলোর সতেজ পাতার উপর আঁকা বানরের ছবি
দেখিয়ে বলতো পারো,  ওটা একটা চাকমা মেয়ের
যে কিনা ফিরে আসে নি। আনারস বাগানে যারা মালি ছিল
তারা এই পথ দিয়েই যেত, লেবু ফুলের গন্ধ এখনো লেগে আছে হাওয়ায়।

ফেরার কথা উঠলেই পথ এসে যায়
সমুদ্রমুখি পথে কেউ দাড়িয়ে নেই, ভাবছিলাম
সে পথেই ফিরব, একদিন।

তোমরা আমায় বলেছিলে পথের কথা-
সেদিন মিছিল গেল, সরকারি দলের
বসে থাকলে অনেক্ষণ, অনেকগুলো বছর
ধুলোর সাথে কত কথা হল, ঘড়ির মুখোমুখি চোখ রেখে
চুমো খেলে কতবার নিজের ঠোঁটে-
সে হিসেব যতন করে রেখে দিলে
তারপর আরো মিছিল এলো- বিরোধীদল, বামদের
জাতীয় সম্পদ রক্ষার, রোড মার্চ আরো অনেকের
সামনে পুলিশ, পিছনে জল কামান নিয়ে-

তারপর কি হলো?

কবিকে জিগ্যেস করতে নেই। কবি পথের কথা লিখে রাখবেন
তার নরম খাতায়। প্রতি টান হবে পরম মমতার। ধুলোর শরীরে
খুঁজে পাবেন কোমল উষ্ণতা। শুধু একদিন যে পথে পথ শেষ হয়ে যায়
কবিকে দাড়িয়ে থাকতে হয়।

ফটোগ্রাফার ছবি তুলছেন পথের
সেই পথ, যার কথা বলেছিলে তোমরা
শুধু কোন দিকে চলে গেছে তা জানা নেই।




মানচিত্রে

আমাকে সমুদ্রের কথা ভাবতে দিন
কিংবা জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত প্রিয় কুকুরের স্মৃতি;
যার গান শুনে আমাকে কবিদের মতো উদাস হতে
দেখা যায়- তার ঠোঁটের কাছে জড়ো হই-

যে সকল পাহাড় হতে পাথরের ঝর্ণা ঝরে
মায়াবী সবুজ ঘাসের পরতে পরতে ঘুমিয়ে থাকে-
আদিবাসী নারী ও পুরুষেরা-
তাদের বুকের পলিতে আমায় পুড়ানো হোক;
হৃদয়ের ভস্ম মিশে যাক শ্রান্ত হাওয়ায়-

পাহাড়ে কোন দুপুর নেই, কেবল সকাল আর সন্ধ্যা
গাছের ছায়ার কাছে ওত পেতে থাকে সমুদ্র-ড্রাগন
জঙ্গলের হাওয়ার উড়ে বেড়ায় পরিযায়ী পাখির গান
বন বিড়ালের নখের আঁচরে অঙ্কিত হয় প্রিয় মানচিত্র-
Abandoned Church, Oldham By Belayat Masum
Abandoned Church, Oldham By Belayat Masum

চিত্র: Wassily Kandinsky - Untitled



একটা সিনেমার কথা ভাবছি। যা এখনো কেউ বানায় নি, কিংবা কেউ হয়তো অনেক আগেই বানিয়ে মরে গেছে, আমি ঠিক জানি না। আমার জানাশুনা কম। শুধু জেনেছি দেয়ালের কান আছে, তবুও দেয়ালের শরীরে গা এলিয়ে অনেক কথা ফিসফিস করে বলা হলেও তা আমি নিজেও শুনতে পাইনি। আমার রোগ হয়, আমি সিনেমার কথা ভাবি। একটা বৃদ্ধ লোক, যে গ্রামে বেড়ে উঠে। শহরেও হতে পারে। আমি শেষবার যখন লোকটারে দেখি, কল্পনায়। হাটছিল,খুড়িয়ে খুড়িয়ে। জানিনা তার পা আছে কি নেই, কোনদিন পায়ের দিকে তাকাই নি। কোন পা দিয়ে সে হাটে আমার দৃশ্যে নেই। আমার গলা শুকিয়ে যায়, লবণ পানি দিয়ে গলাটা পরিষ্কার করি, এ ধুমপানের ফল। যদিও অনেক বছর যাবৎ আমি আর এসবে নেই। শেষবার যখন আমার নাকে ধূয়ার গন্ধ পাই, তা ছিল ভিষন ঠান্ডা। কুয়াশার জাল কেটে কেটে বৃদ্ধ লোকটা হেটে যায়, আমি দেখতে পাই পিছন হতে। উপর থেকেও হতে পারে, ঠিক নাই। ইচ্ছে হয় লোকটারে ডাকি, আবার ভয়ও হয় যদি সে হাটতে হাটতে ঘুমিয়ে থাকে আর আমি জাগিয়ে তুলি, ভাল হয় না। তাই দেখতে থাকি। লোকটা হাটে, গ্রামের পথে। সবুজ জংলী পথ শহরেও থাকতে পারে, জানা নেই, যদিও বহুকাল ধরে শহরে ঘুরি।

 মনে হয় এটা শীতকাল। আমি কোন রোগে আক্রান্ত ডাক্তার হয়তো বলতে পারবেন। হাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে করতে সিনেমায় ডুবে যাই। বৃদ্ধ লোকটা হয়তো কোনদিন যুবক ছিল, হয়তো না। আমি আগেই বলেছি আমার জানাশুনা কম। তবুও কল্পনায় দেখি যুবক লোকটা ডুব দেয় পুকুরের জলে। ডোবা পুকুর। খসে পড়ে গেছে চারপাশের পাড়। একদিন এই পুকুরে হয়তো লবণ চাষ হতো, সে আদিকালের কথা। প্রপিতামহ কিংবা সেই সময়ের কারো সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই, কোনদিন কোন গল্প বলার ছলে তারা আমার কাছে আসেন না। আমি দেখতে থাকি বৃদ্ধ লোকটা ডুবে যায়, আসলে দৃশ্যটা তার যুবা কালের।

বিকেল বেলা হাটতে বেড় হই।  মাঠে যাই, সবুজ ঘাসের শরীরে শরীর রেখে হামাগুড়ি খেলি। এই সব যৌবনের কথা। হাটতে হাটতে মুখস্থ বিদ্যা উজাড় করতে থাকি। সিনেমার ভেতর পান করি মসলা পান। পিক দানী থেকে চোখ ফেরাতেই দেখি লোকটারে। লুঙ্গি পড়া অকাল বৃদ্ধ মানুষটারে। হেটে যায়, পুকুর পাড় দিয়ে। প্রত্যেক বিকালে লোকটা এভাবে হেটে যায় কি না, জানি না। আমার প্রতিদিন খেলার অভ্যাস নাই কিংবা শারীরিক কসরতে আমি হেরে যাই, এসব আমার ডাক্তার ভাল জানেন, যদিও বন্ধুদের কাছে ভাব ধরে থাকি, এ তল্লাটে আমার মতো আর কেউ নেই।

এই লোকটা যে সিনেমার অভিনেতা, জানা ছিলনা। আমার চোখে যে ছানি পড়া রোগ লোকটাও জানেনা। দেখতে থাকি, লোকটা বসে পড়ে এবং তাস খেলায় মঁজে যায়। তার বন্ধুদের সাথে গল্পের ছলে কার কথা বলে শুনতে পাই না, হয়তো বাড়িতে রেখে আসা বউ কিংবা বউদের কথা।

আমার শৈশবে একটা কুকুর ছিল, লাল রঙের। লালু নামে ডাকতাম। লোকটারও হয়তো শৈশব ছিল, লালু বা কালু নামের কুকুর নিয়ে ঘুরে বেড়াতো সকল পাড়ায়। সকালে বিকালে হাজিরা দিত মৌলভীর ঘরে। এসব অনেক আগের কথা, এখন বয়স বেড়ে গেছে। সপ্তাহে দুবার চুলে,  দাড়িতে কলুপ দেয়া হয়। আয়নায় দেখে লোকটা হেসে উঠে। কল্পানায় দেখতে পায় এক কৃষ্ণচূড়া গাছ। চারদিক একা করে বসে আছে মাঠের ভেতর। যদিও আমি এসব কল্পনায় দেখি, আসলে ওটা একটা শূন্য ঘরের চেয়ার। যার পাদানি আছে অথচ একটা পা নেই।


বৃদ্ধ লোকটা জলের কাছে দাড়ায়। নৌকায় উঠার ভান করে। যে নৌকা প্রতি শুক্রবার বাজারে যায়। এই হাট বারে যারা হাটে তাদের দেখা হয়। মোরগ এবং গরু সহ আরো গৃহপালিতরা সমবেত হয়, তারা আবারো পালিত হবে এমন সংবাদ হাটের হাওয়া রাখেনা। লোকটা বাজারে হাটতে থাকে। মানুষের সাথে দেখা হবে বলে কোন মানুষের সাথে দেখা হয়, জানিনা। 



ভাবলাম পৃথিবীর দিকে চেয়ে থাকি
বিষন্ন একজোড়া চোখ দিয়ে।


মাঠের পর মাঠে শুয়ে থাকা সাদা ভেঁড়ার পালের সাথে
ঘুরে আসি। ঘাসের শরীরে লেপ্টে রই। গ্রীষ্মের রোদে
যখন হাপিয়ে উঠে সাদা-সাদা ভেঁড়ার শরীর কিংবা শীত
এলে শরীরের ভিতর হতে যেমন ছড়িয়ে পড়ে কোমল
উষ্ণতা- মনে হয় এখানে রাত নামুক আর ঝুলে থাকি
অন্ধ বাঁদুরের মতো। এখন রাত গুলো আর তেমন নেই।


জংলী পথ ধরে চলে যাই সমুদ্রের দিকে-
ওখানে কোন খামার-বাড়ি নেই;
হাস গুলো ডাকতে ডাকতে এদিকে আসেনা।
অনেকেই যায়, ফিরে আসে
সন্ধ্যার মেট্রো বাসে চড়ে- সব রাতে অন্ধকার জমেনা।


আইরিশ সাগর পানে চলে গেছে এই পথ। যদিও সমুদ্র
দেখতে আমরা যাইনা। পতিত জমির মতো অলস বসে
থাকি- সেদিন যেমন ফুলের ঠোঁটে বসে গেয়ে গেল পলকহীন
মাকড়সার দল। সমুদ্রের হাওয়া এদিকে আসেনা। শীতের
দিনগুলোর মতো-রাত গুলোর মতো।


ঘোড়ার পালের সাথে ঘুরতে যাই-
এরা জানে কেমন করে নাচতে হয়;


এই গ্রীষ্মে চলে যাবো- নোনা জলের দিকে। বিষন্নতায় ভাসিয়ে
দেব প্রতিটি বিকেল। সাদা-সাদা ভেঁড়ার পালের ভীড়ে লুকিয়ে
রাখবো রাত্রি গুলো। মাঝ রাতে যখন ঘুমিয়ে পড়ব- গান গেয়ে ফেরা
এক পাল বাদুরের অথবা কয়েক লক্ষ জ্বলতে থাকা জোনাকী পোকার
শরীর থেকে গন্ধ পাবো পুড়ে যাওয়ার। কোটি কোটি দিন পুড়ে যাওয়ার।


এই পথ দিয়ে চলে যাবো- তোমার আমার বর্ষায়।






ওল্ডহাম/২০১৫









ওল্ডহামের এক বয়স্ক বৃদ্ধ পুরুষ দেশে গিয়ে বিয়ে করে ফিরেছেন। এটা তিনি করতেই পারেন, শুনে আশ্চর্য হইনি, এমন ঘটনা ঘটছেই। লোকটার ছয়জন ছেলে মেয়ে আছে, বউ আছে, তবুও উনি বিয়ে করতেই পারেন। উনি কম বয়সী এক তরুণীকে বিয়ে করেছে, টাকা আর যৌবন থাকলে তিনি তা করতেই পারেন। দেশে অনেক পরিবারই সচেতন না, কিংবা লোভে পড়ে যায়। টাকা ওয়ালা বৃদ্ধ আর সে যদি হয় বিলেত ফেরত তাহলে তো আর কথাই নেই, কম বয়সী কন্যাকে সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় বিয়ে দেয়াই যায়। এ সবই পুরনো আরো ঘটনার মতো, তবে এখন শুনা যাচ্ছে বৃদ্ধ লোকটার স্ত্রীও বলে বেড়াচ্ছেন যে তিনিও আগ্রহী পুরুষ পেলে বিয়ে করবেন এবং তার ছেলে-মেয়েরাও তাকে সমর্থন করছেন। একজন বৃদ্ধ বয়স্ক পুরুষ যদি আবার, তারপর আবার বিয়ে করতে পারে তাহলে নারীরও অন্তত আবার বিয়ে করতে পারা কিংবা সেই মানসিকতা রাখতে পারা উচিৎ।

ওল্ডহামের আরেকজন বৃদ্ধ লোক বিয়ে করে ফেরার পথে প্লেনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আমি যেখানে কাজ করি প্রায়দিনই একজন অসুস্থ লোক আসেন। উনি চলতে পারলেও কোন কাজ করতে পারেন না। স্ত্রীকেই সংসার টানতে হয়। প্রায়ই কথা বলতে বলতে তিনি স্ত্রী প্রসঙ্গ আনেন যে সংসারে আর আগের মতো উনার গুরুত্ব নেই। আমি ভাবি যদি উল্টো হতে তাহলে কেমন হতো? হয়তো পুরুষ স্বামীটি সংসার চলছেনা অজুহাতে আবার বিয়ে করতো কিংবা মানবিক কারণে সংসারে মন দিত। এখানে প্রেম ভালবাসার প্রসঙ্গ আনছি না কারণ প্রবাসীদের সংসারে এ জিনিস নেই বললেই চলে।

মি. X অনেক দন যাবত মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। মাথায় ঠিক ঠাক কাজ না করলেও নিজের স্বার্থগুলো ঠিকই বুঝেন। পরিবারে শান্তি নেই, বিনা কারণেই অশান্তির সৃষ্টি করেন। যদি এমন হতো যে,  মিসেস Y দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ আর তিনি সংসারে অশান্তি করেই যাচ্ছেন তাহলে আমি নিশ্চিত যে মি. X কে তার পরিবারের সদস্যরা আবার বিয়ে করতে চাপ দিত আর উনিও আবার বিয়ে করতেন।

আর পুরুষকে আবার, তারপর আবার আরো বিয়ে করার সনদ দিতে ধর্মতো আছেই।

অচেনা পথিক- পথিক নবী


  গানের ভক্ত বলেই হয়তো, দোকানে প্রিয় শিল্পীর নতুন কোন ক্যাসেট আসলেই সংগ্রহ করতাম।বাজারে প্রতিদিন যাওয়া নিষেধ ছিল, শুধু বাজার বারেই যেতাম, স্কুল ছুটির পরও মাঝে মধ্যে যেতাম বই খাতা কেনার জন্য, এই সুযোগে ক্যাসেটের দোকানে যাওয়া হতই।

  ২০০২ সালে নতুন একটি ক্যাসেট আসলো দোকানে, একেবারে নতুন শিল্পীর। প্রচ্ছদে শিল্পীর কোন ছবি নাই, ভেতরে একটা আছে অস্পষ্ট। কিন্তু প্রচ্ছদটা আমায় আকৃষ্ট করেছিল। কেননা ছোট বেলা শিল্পীর নামের পরে ক্যাসেটের প্রচ্ছদ দেখেই ক্যাসেট কিনতাম। অ্যালবাম ও শিল্পীর নাম ছিল একেবারে ভিন্ন ধরনের, অচেনা পথিক- পথিক নবী। দোকানদারকে বললাম ক্যাসেটটা বাঁজাতে, কিন্তু রাজি হলেন না, পরে অনেক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে,ক্যাসেট বাম হাত-ডান ঘুরিয়ে কিনে ফেললাম, দাম পঁয়ত্রিশ টাকা।

  বাড়িতে ফিরে গান শুনে মুগ্ধ। গানের কথা, সুর একবারে ভিন্ন। এতদিন ধরে যে সব গান শুনছি তার সাথে এর কোন মিল নেই, মনে হলো এ এক অন্য জগৎ। রাখালরা যেমন মাঠে গান গেয়ে বেড়ায়, এই লোকটাও বেড়ালো। আর একদিন নেই হয়ে গেলো। নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। বাজারে হারিয়ে গেলো। প্রথম এবং হয়তো শেষ দেখেছিলাম ২০১২ সালে। সেই থেকে অনুমান করতে পারি হয়তো পথিক নবী পথের খুজে ঘুরছেন, হয়তো আবার শোনা যাবে তাকে।


এবার পথিক নবী'র অচেনা পথিক থেকে কিছু গান পড়া যাক। গান শুনার সময় লিখেছিলাম, ভুল থাকতে পারে। শুধু "ডাইরেক্ট ডাইরেক্ট" গান ঠিকঠাক বুঝতে পারিনা বলে লিখতে পারিনি।



নদী

আমার একটা নদী ছিল, জানলোনা তো কেউ
এই খানে এক নদী ছিল, জানলোনা তো কেউ
নদীর জল ছিলনা কূল ছিল না, ছিল শুধু ঢেউ

সেই ঢেউয়েতে ভেসে ভেসে
নৌকা হেথায় এলাম শেষে
এখন আমি সাঁতার কাটি
সাঁতার ভোলা কেউ-

বাঁক ছিল তার শাঁখে শাঁখে
শাঁখে শাঁখে বাঁকে বাঁকে
বাঁকে বাঁকে জমলো মেলা
মেলার ভীড়ে একলা একা
সুজন হারা কেউ-


অচেনা পথিক

তারা ভরা রাত
মন ছুয়ে জল
জোনাকির কোলাহলে
অচেনা পথিক কোথা যাবি চল

অনেক দূর, বহুদূর যাবার কথা
যেতে হবে যেন সব ভুলে, কোন দূ:খ নেই

অচেনা পথিক যাও যাও
পা পসকালেই শুধু হয়
গল্পের শেষ নেমে যাবে
সাবধানে প্রতি ধাপ বন্ধু

এ গানের আরো কিছু লাইন আছে বাকি
ওরা এক্ষুনি এসে যাবে
চল এগিয়ে চল্ চল্
চল এগিয়ে চল্ চল্
চল এগিয়ে চল


ভাঙ্গা পাড়ের

ভাঙ্গা পাড়ের উধলারে দেউরি
মেঘলা নীল অন্তর
বুকের ভেতর খাঁ খাঁ করে
দগ্ধ তেপান্তর-

অরূপ চাষি লাঙল চালাই
বুকের উপর
অনাবাদী বালুর বনে
তুলিব বাসর-

বীজ বুনেছি ঢেলেছি জল
মরুর উপর
হারায়েছি যে ধন তাহার
না রাখি খবর-


পথিক নবী
সুত্র: www.banglamail24.com 


পাখি উড়িয়া উড়িয়া

পাখি উড়িয়া উড়িয়া উড়িয়া উড়িয়া উড়িয়ারে যায়
একটা সাদা পাখি আমাকে ভাবায়-

পাখির ঠোঁটের ক্ষীণ তৃণ আমাকে জানায়
তোমার ঘরে ফেরার বেলা যায়-

ভাবি কোথায় ফিরিব, ঘরইতো বাঁধি নাই
আসলে কি ফেরা যায়
আসলে কি ফেরা হয়
নাকি শুধু শুধু পরে থাকা
ধুল আর ধুলার মায়ায়-

একটা সাদা পাখি আমাকে ভাবায়-


অসীম শুন্যতার মাঝে

অসীম শুন্যতার মাঝে
কে বাঁজাই আর কে বাঁজে
কেউ না কেউ না নিজে নিজে-

সাধের বনভূমি ছাই, 
ঝরণারা কেঁদে বলে কি যে
এই আর নেই তো সেই আমি
প্রিয় আগুনে ভিঁজে ভিঁজে-

হৃদয়ের কলিগুলো ফোটেনা
মেলিনাই সবটুকু চোখ
বেদনার ক্ষত আরো গাঢ় হয়
মধুর গভীর রাত ভাঙল সাঝে-

তাই তো কোথাও তোমায় খুজিনা
এইতো আমার কাছে তুমি
তুমি আমার, আমি তোমার
তোমাতেই আমি, তুমি আমার মাঝে-


মানুষ আমায় প্রশ্ন করে

মানুষ আমায় প্রশ্ন করে
কি পেলি পাগল
কি করে বলি তোমাদের-

কোথায় ছিলাম এখান থেকে দূরে, 
কি করে বলি তোমাদের-

এই যে একটা গান
কেউ কেউ তোমরাই যে সুরে, দূরে
কি করে বলি তোমাদের-

তোমাদের মুখ, মুখচ্ছবি
ব্যথা, কথা এই হৃদয় জুড়ে, দূরে
কি করে বলি তোমাদের-


কে আমাকে ভালবাসিবে

কে আমাকে ভালবাসিবে
কে জানাবে শেষ বিদায়
আমি কাউকে ডাকিনাই
আমিতো কাউকে শুধাই নাই

স্বপ্ন রেখে গল্প রেখে
আমি যাই চলে, আমি যাই
আমার ছিড়েছে পাল, ভেঙ্গেছে বৈঠা
খবর রাখি নাই
আমি তো আমাকে জানি নাই
আমি তো আমাকে বুঝি নাই

কে আমাকে পাড় করিবে
উতল দরিয়ায়
আমি তো সাঁতার শিখি নাই
আমি তো ভালবাসি নাই

অন্ধকারের বাসা-বাড়ি 
আমার ভিতরটাই
আমি আলো জ্বালি নাই
আমি পথ চিনি নাই
চক্ষু নিয়াও অন্ধ আমি
কিছুই দেখিনাই
আমি তো কিছুই জানি নাই
আমি তো কাউকে শুধাই নাই

সোনার জমিন পড়িয়া রইল
আবাদ করি নাই
আমি তো আমাকে চাষি নাই
আমি তো ভালবাসি নাই
আমি তো......


আমি তা আবার হারাই রে

ও তার চপল চাহনি যেন হাসির খনি
আমি তা হারায়ে পাই রে
ও সে গোলক ধাঁধা, ধাঁধার ফেড়ে পরে
আমি তা আবার হারাই রে

আমর চাতক কামনা অনাদরে শুকিয়ে
নৃত্যে নদী হয়ে ধায় রে
স্বপ্ন শিকলে

স্বপ্ন শিকলে আটকে ক্লান্ত পা
ঘুম রাতের ময়ুরী হারা হরিণী মন
তবু আশারা বড় হতে চায় রে


আমার প্রপিতামহের কথা ভাবি, যিনি বেঁচে নেই। থাকলেও আমায়
চিনতেন কিনা জানি না। উনার নাবালিকা স্ত্রীর কান্নার শব্দ আমার
কানে না পৌছলেও তাঁর গাওয়া গুনগুন সুরের আওয়াজ এই বাতাস
এখনও বয়ে বেড়ায়। এই খবর কে আর রাখে? গ্রাম্য সব সন্ধ্যায় তিনি
অলস বসে থাকতেন, হুকা টানতেন আর বৌ-ঝির সাথে নানান গল্পে
ভরিয়ে তুলতেন- এই রকম আরো অনেক কিছুই লেখা যায় তাকে
নিয়ে।কিন্তু যাকে আমি চিনিনা, জানিনা, তাকে নিয়ে কি আর লিখব?

আমি যেহেতু লেখক হতে চাই, তাই কোন না কোন কিছু লিখতে হয়।
যদিও প্রতিদিন লিখিনা, যখন তখন লেখার অভ্যাস আছে। যাচ্ছেতাই
লিখে ভরে ফেলি পাতা। এখন কলমের কালি ও পাতা অপচয় হওয়ার
সুযোগ না থাকলেও খাতার পাতায় লেখার লোভ সামলাতে পারিনা।

আমার প্রপিতামহের কথা লিখছিলাম। তিনি কৃষক ছিলেন, পুত্রদের
মতো। হাল-চাষের শিক্ষা হয়তো উনার পিতার কাছ থেকে শিখেছেলেন।
কখন ধান বুনতে হয় তার জানাছিল। পৌষের আগে বলদগুলোকে তৈরী
করতেন। ভাঠি জমির নরম পলিতে লাঙল চালাতেন আর বৈশাখের পাঁকা
ধানের গন্ধে নিজেকে সুখি কুমির ভাবতেন।

আমি প্রথম যে স্বরবর্ণ শিখি, ওটা কোন অক্ষর ছিলনা। ওটা মায়ের
দুগ্ধ পানের শব্দ ছিল যা কোন অক্ষরে লেখা যায় না। আমি শিখতে
থাকলাম, অক্ষরে অক্ষরে ভরে উঠল মাটির ভাঙা শ্লেট। মুছি আর
লিখি। না মুছা দাগে আকঁতে থাকি মানচিত্র, এভাবে একদিন
আমার রাষ্ট্র ভাষাকে জানতে থাকি মাতৃভাষা রুপে, যদিও আমার
মা রাষ্ট্র ভাষা জানেন না।




ওল্ডহাম/২০১৫
কবিকে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও যেতে হয়। এই যেমন- 
সকালের কোমল হাওয়ায় গা ধুয়ে আসেন কাসপিয়ান সাগর হতে
অথবা গোয়াল ঘরের বারন্দায় বসে শুকতে থাকেন গাভীর ওলান
হতে ভেসে আসা কোমল উষ্ণতা।

তার দিনের শুরু নেই বলে, শেষও নেই। কবি সব সময় পৌছে যান
তার নিজের আগে। ভাদ্রের রোদের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ান কাশফুল
বাগানে। যত্রতত্র ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আছে, যদিও তার চোখ নেই
বলে কাদঁতে পারেন না।

কবি অন্ধ হলেও চশমা পড়েন অথবা চশমা পড়লেও তিনি ঝাপসা
দেখেন। তিনি শিশির ঝরে পড়ার শব্দ শুনতে পান। শুকনো পাতার
উপর হাটতে হাটতে পিয়ানো বাঁজান। 

একদিন একরাত করে রোগ বাড়তে থাকে। নিজের শরীরের ভেতর
শুয়ো পোকার মত- বেঁচে থাকার আনন্দ নিয়ে পান করেন গোধূলি
আলো। কবির হৃদয়ে কোন আলিঙ্গন নেই কিংবা পরস্পর কথা
বলার অদৃশ্য দেয়াল।

কবি কেন এত চোখের রোগে ভুগেন?

তবুও পৃথিবীতে ঠিকে থাকা অন্যান্য  বাষ্পযন্ত্রের মত কবিকে বেঁচে
থাকতে হয়, দেয়ালের আলোয় নিজের ছায়া হয়ে কিংবা ছায়ার ভেতর
এক আগুন্তক তেলাপোকার রুপ ধরে, আর ক্ষয়ে যাওয়া চোখের
দৃশ্যে প্রতিদিন ডুবতে হয় একান্ত নিজস্ব জানালায়।



ওল্ডহাম/২০১৫
নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ হোম

Translate

বেলায়েত মাছুম

নির্বাচিত লেখা

মনে হয় আমি হাওয়া হয়ে যাই | বেলায়েত মাছুম

১. মনে হয় আমি হাওয়া হয়ে যাই। আব্বার কবরের পাশে অচেনা এক লোকের মতো বসে থাকি। ধীরে- দূর পাহাড় থেকে ভেসে ঘোরা মেঘের সাথে চলতে থাকি। ঘাসের সাথে ...

সেরা পাঁচ

  • ধান পাতারা উড়ে উড়ে যায় | বেলায়েত মাছুম
      হঠাৎ একদিন ধান পাতার কথা মনে পড়লো। ভাবি একদিন আমাদের বাড়ি থেকে  নেমেই ধানখেতের পাশে দাড়াই আর কয়েকটি ধান পাতা আমার মুখের উপর উড়তে থাকুক। ১....
  • সিলেটি ভাষায় কবিতা | আমারে কেউ কেউ পড়শি ভাবইন | বেলায়েত মাছুম
      ১. তুমার আত থাকি কুন্তা খাইলে তুমার চউখো চউখ পড়লে  আমি টাল অইজাই পাতা যেলা পরি থাকে ঘাসর উপরে মনো অয় আমিও পরি থাকি হারাদিন, বিয়ান থাকি হাই...
  • আমাদের দীর্ঘ সাক্ষাতকার বিষয়ে বই থেকে দশ কবিতা | বেলায়েত মাছুম
    নৈশ সভা নৈশ সভায় কোন গল্প হয় না পরস্পরের খোঁজ-খবর কিংবা পাখির কথা; নিশিতে যে ডেকে উঠে জানালার পাশে ঘাস কাটা যন্ত্রের শব্দ নিয়ে- তার কথা কোন...
  • দিনলিপি | বেলায়েত মাছুম
    ১. এইভাবে একদিন লিখে রাখি জানালার কথা, দক্ষিণের হাওয়ায় ভাসা ফুলের রেণু,পাখির পালক হতে গুনগুন আওয়াজ; শব্দের ভেতর কাঁপা শোভন আলো, পা...
  • গত হওয়া শীত কিংবা বসন্তের কবিতা গুচ্ছ | বেলায়েত মাছুম
    আজ ১লা ফাল্গুন। দেশে শীত শেষ হলেও শীতল ভাবটা নিশ্চয় রয়ে গেছে। ইংল্যান্ডেও শীত শেষ হয়ে আসছে, যদিও গত কয়েকদিন ধরে খুব ঠান্ডা আর ঝিরঝির তুষার...

গোলা । উগাড়

  • ►  2022 (6)
    • ►  ডিসেম্বর 2022 (1)
    • ►  নভেম্বর 2022 (1)
    • ►  অক্টোবর 2022 (1)
    • ►  জুলাই 2022 (1)
    • ►  মে 2022 (1)
    • ►  এপ্রিল 2022 (1)
  • ►  2021 (7)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2021 (1)
    • ►  জুলাই 2021 (2)
    • ►  জুন 2021 (1)
    • ►  মার্চ 2021 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2021 (2)
  • ►  2020 (9)
    • ►  অক্টোবর 2020 (1)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2020 (1)
    • ►  জুলাই 2020 (1)
    • ►  জুন 2020 (1)
    • ►  মে 2020 (1)
    • ►  মার্চ 2020 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2020 (2)
    • ►  জানুয়ারী 2020 (1)
  • ►  2019 (3)
    • ►  অক্টোবর 2019 (1)
    • ►  জুলাই 2019 (1)
    • ►  মে 2019 (1)
  • ►  2018 (5)
    • ►  ডিসেম্বর 2018 (1)
    • ►  জুন 2018 (1)
    • ►  মে 2018 (2)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2018 (1)
  • ►  2017 (6)
    • ►  আগস্ট 2017 (1)
    • ►  জুলাই 2017 (1)
    • ►  জুন 2017 (1)
    • ►  মার্চ 2017 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2017 (1)
    • ►  জানুয়ারী 2017 (1)
  • ▼  2016 (8)
    • ▼  ডিসেম্বর 2016 (3)
      • পাঁচটি কবিতা : ডিসেম্বর আর ডিসেম্বর সংক্রান্ত | বে...
      • Abandoned Church, Oldham By Belayat Masum
      • কিছু দৃশ্য তবু ভাবা যায় | বেলায়েত মাছুম
    • ►  জুলাই 2016 (1)
      • জুলাই অথবা চর্লী রোড | বেলায়েত মাছুম
    • ►  জুন 2016 (1)
      • তারপর আবার আরো যদি হয় তবে কেন অন্তত আবার নয়
    • ►  মে 2016 (1)
      • পথিক নবী - এক হেরে যাওয়া ফুল
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2016 (2)
      • প্রপিতামহের স্বরবর্ণ পরিচিতি
      • কবি বিষয়ক
  • ►  2015 (30)
    • ►  ডিসেম্বর 2015 (3)
    • ►  নভেম্বর 2015 (2)
    • ►  জুলাই 2015 (2)
    • ►  জুন 2015 (3)
    • ►  মে 2015 (7)
    • ►  এপ্রিল 2015 (6)
    • ►  মার্চ 2015 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2015 (3)
    • ►  জানুয়ারী 2015 (3)
  • ►  2014 (8)
    • ►  নভেম্বর 2014 (4)
    • ►  অক্টোবর 2014 (4)
  • ►  2010 (17)
    • ►  আগস্ট 2010 (5)
    • ►  জুন 2010 (1)
    • ►  এপ্রিল 2010 (11)

বিষয়

অ-কথা অ-গদ্য কবিতা গান ছবি প্রেমের কবিতা ভ্রমণ English Poetry
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.


আপনার সাহায্য পেলে বিদ্যানন্দের কাজ আরো সহজ হবে। বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

অন্যজন

  • মীর রবি
  • মুনিরা মেহেক
  • মুরাদুল ইসলাম
  • সুহান রিজওয়ান

যোগাযোগ

নাম


ইমেল *


বার্তা *


Copyright By Belayat Masum | Designed By OddThemes | Distributed By Blogger Templates