বেলায়েত মাছুম
,
  • বাড়ি
  • কবিতা
  • গদ্য
  • প্রযোজনা
  • সংযুক্তি
    • অ-কথা
    • সংকলন
      • অঞ্জন দত্তের গান
      • শাহ্ আব্দুল করিমের গান
      • কল্পকান্ত সদাই'র গান
      • অ-সংযোগ
    • ভ্রমণ
    • আমি
  • ISSUU
  • বই
    • আমাদের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার বিষয়ে
    • পাখীদের পানশালায়

The Shakespear Centre
দি শেক্সপিয়ার সেন্টার


২০১৮ সালের আগস্টে সুযোগ হয় উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের বাড়ি ঘুরে আসার। ইংল্যান্ডে আসার পর থেকেই ইচ্ছে ছিল কোন একদিন সুযোগ পেলে দেখতে যাবো। কিন্তু সে সুযোগ আর আসেনা। আমরা যারা এই দেশে আছি- সকলেই কর্মে ব্যস্ত। ঘুরাঘুরির ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হয়না। সেই আগস্টে লন্ডনে যাওয়ার দরকার পড়লো। বার্মিংহামে থাকা বন্ধু মামুনের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত হলো যে লন্ডন থেকে ফিরে পরের দিন সকালে শেক্সপিয়ারের বাড়ি দেখতে যাবো। লন্ডনেও আমাদের কয়েক জায়গায় ঘুরার সুযোগ হয়- বিশেষ করে ন্যাশনাল মেরিটাইম মিউজিয়াম ও রয়েল অভজারবেটরি গ্রীনউইচ।


২৬ আগস্টে ওল্ডহাম ম্যানচেস্টার থেকে ট্রেনে করে গেলাম বার্মিংহাম, ওখানে আমার বন্ধু মামুনের বাসায় উঠলাম। ২৭ তারিখে গেলামে লন্ডন, যে উদ্দেশ্যে যাওয়া তা পুর্ণ না হলেও ঘুরতে লাগলাম- আমরা দেখতে গেলাম ন্যাশনাল মেরিটাইম মিউজিয়াম, ওখান থেকে হাটতে হাটতে পৌছে গেলাম রয়েল অভজারবেটরি গ্রীনউইচে। হাটার সময়ও অনেক কিছু দেখা হলো।



ন্যাশনাল মেরিটাইম মিউজিয়ামে দেখতে পাই- ব্রিটিশদের জাহাজ আর নাবিকদের ইতিহাস। তারা কিভাবে জাহাজ নিয়ে বেরিয়ে পরতো পৃথিবী জয়ের নেশায়। জাহাজ আর নাবিক এবং যোদ্ধা। রক্তের ইতিহাস।

Nelson's Ship in a botle by Yinka Shonibare- belayat masum

ইনকা শনিবেয়্যারের তৈরী- বোতলে নেলসনের জাহাজ ।



দিনে দিনে লন্ডন থেকে বার্মিংহামে ফিরি। ২৮ আগস্ট সকালে দুই বন্ধু মিলে রওয়না দেই শেক্সপিয়ারের বাড়ির উদ্দেশ্যে- স্ট্রেটপোর্ট আপন অ্যাভনে। বারোটার দিকে গন্তব্যে পৌছাই। ছোট্ট শহরে ঢুকেই চমক- প্রায় সব কিছুই পুরনো শত শত বছরের। ঘরের কাঠের দেয়াল, কাঠামো- যত্নে রাখা। অনেক গুলো নতুন দালানও আছে কিন্তু এমনভাবে সাঁজানো যে মনে হয় ওগুলোও পুরনো সময়ের অংশ।


শেক্সপিয়ারের শহর- স্ট্রেটফোর্ড আপন অ্যাবন




শেক্সপিয়ারের  পুরনো বাড়ির সামনে
শেক্সপিয়ারের  পুরনো বাড়ির সামনে


শেক্সপিয়ারের বাড়িতে ঢুকার জন্য টিকেট কাটতে হলো। টিকেট সম্পর্কে ছোট্ট তথ্য হলো- পূর্ণ বয়সী লোকের টিকের দাম ২২.৫০ পাউন্ড, মেয়াদ থাকে ১ বছর। এই টিকেটে শেক্সপিয়ারের পুরনো বাড়ি, নতুন বাড়ি, যাদুঘর, স্ত্রী অ্যানের কটেজ, মা মেরী অ্যারডেনের খামার, কন্যা সুসানা ও জামাতা জন হলের বাড়ি ঘুরা যাবে, যতবার ঘুরতে ইচ্ছে হয়।

ঘুরতে লাগলাম তাঁর বাড়িতে- প্রথমে গেলাম পুরনো বাড়িতে, যেখানে শেক্সপিয়ারে জন্ম। প্রথমেই চোখে পড়ল একদল নাট্যকর্মী- যারা শেক্সপিয়ারের নাটকের চুম্বক অংশ দর্শনার্থীদের উদ্দশ্যে প্রদর্শন করছিলেন।পুরনো ঘরে- যেখান তাঁর জন্ম- ঢুকতেই দু'জন স্বেচ্ছাসেবক অভ্যর্থনা জনালেন। তাঁদের কাছ থেকে জানতে পারলাম শেক্সপিয়ার ছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাঁর বাবা ছিলেন তৎসময়ের প্রকৌশলী, যিনি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস- হাত মোজা, ঝাড়ু, রান্নার সরন্জাম ইত্যাদি তৈরি করতেন। ধীরে ধীরে ভেতর দেখতে লাগলাম- তাঁর আঁতুর ঘর, শোয়ার ঘর।সবকিছু পুরনো- রান্নাঘর, শোয়ার ঘর দেখে মনে হলো তখনও তাঁরা এখনকার আমাদের চেয়ে উন্নতিতে এগিয়ে ছিলো।

প্রথমেই পড়লো রান্নাঘর, সাথে খাবার টেবিল পরিপাটি করে রাখা। মনে হবে খাবারের জন্য সবকিছু তৈরি। পাশের কক্ষ ছিল তাঁর বাবা জন শেক্সপিয়ারের কাজ করার জায়গা, যেখানে দেখতে পাই হাতে তৈরি হাত মোজা, ঝাড়ু সহ আরো সরন্জামাদি। সিড়ি দিয়ে উঠেই শোয়ার কক্ষ-১৫৬৪ সালে যেখানে শেক্সপিয়ারে জন্ম হয়। বড় পালংকের পাশে ছোট একটা বাক্স, প্রদর্শকের বর্ণনায় জানা যায় যে শিশুকালে শেক্সপিয়ারকে ঐ বাক্সে (Bedside Baby Crib) রাখা হতো। জন শেক্সপিয়ার আর মেরী অ্যরিডেনের আট সন্তানের মধ্যে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার ছিলেন তৃতীয়।

এই পুরনো টেরেস বাড়িতেই উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের শেক্সপিয়ার হয়ে ওঠা। এখানে বসেই তিনি  নাটক লিখে জনপ্রিয়তা পান। আমি কল্পনায় দেখতে থাকি- শেক্সপিয়ার তার জানালায় বসে লিখতে শুরু করেছেন আর বাইরে ওপাশের পানশালায় লোকের জটলা- মারামারি, রাস্তায় ঘোড়ার ঘাড়ি। এই বাড়িতে শেক্সপিয়ার অ্যান হ্যাতওয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং প্রথম পাঁচ বছর এখানেই কাটান।

পরবর্তীতে তিনি যখন জনপ্রিয় আর ধনী হয়ে উঠলেন তখন পুরনো বাড়ি থেকে কিছু দূরে অভিজাত এলাকায় নতুন বাড়ি কিনে  চলে যান। পরে পুরনো বাড়িতে Swan Maidenhead নামে পানশালার (Pub) ব্যবসা শুরু করেন।


শেক্সপিয়ারের পুরনো বাড়ির সদর দরজায়।
শেক্সপিয়ারের পুরনো বাড়ির সদর দরজায়।


পুরনো বাড়ি থেকে একটু হেটে গেলেই নতুন বাড়ি। সদর দরজা বন্ধ থাকলেও পাশেই দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ দুয়ার আছে। সেখানেও প্রদর্শকরা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন বাড়ি সম্পর্কে। ১৫৯৭ সালে এই বাড়িতে আসার পর থেকে ১৬১৬ সালে এই বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত বাস করেন। ১৭৫৯ সালে এই বাড়ি ভেঙে ফেলা হয় এবং তাঁর স্মৃতি রক্ষার্তে সেখানে বাগান তৈরি করে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়।

আমরা তাঁর নতুন বাড়ির বাগান দেখতে লাগলাম। বিশাল সীমানা ঘেরা সবুজের সমারোহ। এই বাগানে আছে শেক্সপিয়ারের হাতে লাগানো গাছ আর আছে শেক্সপিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ কাজের উপর করা নানা রকমের আর্ট ও মূর্তী।

যে চেয়ার-টেবিলে বসে শেক্সপিয়ার রচনা করতেন
যে চেয়ার-টেবিলে বসে শেক্সপিয়ার রচনা করতেন


শেক্সপিয়ারের হাতে লাগানো গাছের সামনে মামুন
শেক্সপিয়ারের হাতে লাগানো গাছের সামনে মামুন।

নতুন বাড়ি থেকে বের হয়ে- প্রায় দশ-পনের মিনিট হেটে পৌছে যাই হল'স ক্রফটে, শেক্সপিয়ারের মেয়ে ও জামাতার বাড়ি। ১৬১৩ সালে মূল বাড়ি তৈরি হয় এবং পরে ধীরে ধীরে পরিবতর্ন আনা হয়। বিশাল সে বাড়ির মালিক জন হল পেশায় ছিলেন ডাক্তার। তাঁর বাড়ি দেখে মনে হলো ডাক্তাররা সব কালেই ধনী হন। জন হল ধনী আর অভিজাত হলেও তিনি সবাইকে সমান সেবা দিতেন, ধনী, গরিব, ক্যাথলিক, প্রোটেস্টেন্ট বলে আলাদা করতেন না। ১৬৫৭ সালে লেখা তার বই অন্যান্য ডাক্তাররা অনুসরণ করতেনা। সুসানা আর জনের একমাত্র কন্যা এলিজাবেতের জন্ম হয় এই বাড়িতে।

শেক্সপিয়ারের মৃত্যুর পর সবকিছুর দখল উত্তরাধিকার সুত্রে সুসানার কাছে চলে যায়, পরে যখন সুসানার মৃত্যু হয় এলিজাবেত সবকিছুর দখল পান। এলিজাবেতের কোন সন্তান না থাকায় তার মৃত্যুর পর সবকিছুর দায়িত্ব চলে যায় শেক্সপিয়ারের বোন জোয়ান হার্টের কাছে। ১৮৪৭ সালে The Shakespeare Birthplace Trust হার্ট পরিবারের কাছ থেকে সবকিছু কিনে নেয়।

সময় স্বল্পতার কারণে শেক্সপিয়ারের স্ত্রী অ্যানের কটেজ, মা মেরী অ্যারডেনের খামার ঘুরে আসতে পারিনি। আবার কোন দিন যদি সুযোগ হয়- হয়তো ঘুরে আসবো আবার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের বাড়ি।




বেলায়েত মাছুম
ওল্ডহাম/২০১৯ 


আজ ১৭ জুলাই। এই দিনে আমার পৃথিবীতে আগমন হয় আর এতদিন ধর আনন্দ নিয়েই বেঁচে আছি। আমি কেউ না- শুধু কবিতা লিখি। পৃথিবীর ঘড়ির প্রতি আমার দূর্বলতা আছে। 


আজ আরো একজন মানুষের জন্মদিন। পৃথিবীর হাওয়ায় যতদিন আওয়াজ বাঁজবে তার  সুর- তার কথা- বেঁচে রবে। এই কবিতাগুলো তাঁরেই- প্রিন্স মাহমুদকে উৎসর্গ করছি।



ঘড়ি

কার বাড়ি তুমি ফিরে যাবে ঘড়ি, বাতির ছায়ার নিছে
শুয়ে আছে ঝড়। অকাল পুরান সেই নদী তীর বেয়ে
তোমারেও যেতে হয় ঘর। কালো পাখির বাসা থেকে দূর- 
আগত ফুলের সুরভি ঝরে। পিনের মতোন এক তীব্র আঁধার, 
ছুয়ে যায় ঘড়ি সেই ম্লান ভোরে।


সময়

শোনা যায় ঘরে পোষা ডাহুকের গান, পতিত বিলের
পাড়ে বসে এক সন্ধ্যায়; নিয়ত ফেরার ঘোরে ডাহুক
বাঁজায় পুরাতন মন্দিরায় সেই মনলোভা আওয়াজ।
ঘরের দেয়াল জানে কত কাছাকাছি বুক পেতে রয়
পুরাতন ঘড়ির ভিতর এক কলের হৃদয়, শুনা যায় শুধু
দরিয়ায় গান, পলকে মুছে যায় মনোহরি কারুকাজ। 


একদিন

একদিন তারে ভালবেসে ফেলি- কতদিন গেল
কতদিন তারে নাম ধরে ডাকি, গোপন যত ফুলের নামে;
পাখির ঠোঁটের কাছে যত কথা হয়, যত আবৃত শামুক শরীর
হেটে যায় বুকের আলপথ দিয়ে- সে খবর কেউ রাখেনি, আমিও না জানি।
আমার গোধূলীতে বসে সে গেয়ে যায়
অনন্ত পথের ধুলোর মিছেলে কেবল হেটে যায়
এইখানে একদিন যে সুরে বেহুলা কাঁদে- লখিন্দর কাঁদে
গৌড় রাজার প্রাক্তন স্ত্রীর চুলের সিঁথি রেখা ধরে-
মনে হয়ে তারে নাম ধরি ডাকি- একদিন নদীর দিকে
হাওয়ার সুরে ভুলে যাই নগরী আলোর কোলাহল নিনাদ।



ইশ্বর

ইশ্বর দরোজা খুলে দাড়ান এবং অবশ্যই তিনি হেসে উঠেন
আর চোখ নেই বলে কাঁদতে পারেন না;
দরোজা সাধারণত ঘরের হয়, ঘরেরা মাঝে মাঝে ভ্রমণে যায়
মানুষেরা ঘুমিয়ে গেলে আগর বনে, ইশ্বর তালি বাজান বেহাল সেতারে।


ফুল

ফুল কে ভাবা যায়। রাত কিংবা সন্ধ্যার কথাও। দেয়াল কে
শুনানো যায় পুরনো দিনের গান। মফস্বল ঘুরে এসে একটি কবিতা
অথবা অন্তত প্রেমিকার ঠোঁট মনে করে চুমু খাওয়া যায় ভেঁজা ঠান্ডা
গেলাসে। আমার কোন প্রেমিকা নাই, তবুও তার কথা ভেবে সমুদ্র,
নোনাজলে ডুব দেয়া যায়। পর পর তিনরাত একই স্বপ্ন,
একই ভাবে জেগে উঠা যায়, জল পিপাসায়।


নৈশ সভা

নৈশ সভায় কোন গল্প হয় না
পরস্পরের খোঁজ-খবর কিংবা পাখির কথা;
নিশিতে যে ডেকে উঠে জানালার পাশে
ঘাস কাটা যন্ত্রের শব্দ নিয়ে-
তার কথা কোন দিন আমরা বলবনা।

সভার টেবিলে আঁকা ড্রাগন ট্যাটু
সূর্যের লালা নিয়ে নিবিষ্ট প্রার্থনায়;
সভা ঘরে জানালা ছিল না এবং কোন শব্দ।

রাত নেমে এলে বসে থাকি
শৈশব নিয়ে;
বারুদের গন্ধে
পিপাসা ও ক্ষুধায় মজে শুয়ে থাকি
সভা শেষে- ত্রাণের আশায়।


দ্বীধা

আমায় কখন ছুয়ে গেলে- হাওয়া
হিজলের বনে কখন তুমি ঝরে গেলে
সন্ধ্যায় একদিন মগ্ন ছিলাম- মনে পড়ে?
পথের কোন দিক ছিল না
আমাদের মত- ডুবে থাকার
নিজেদের ভেতর পতঙ্গ হয়ে।

আমায় ছুয়ে যায় হাওয়ার শরীর আর আমরা আমাদের
নিয়ে জেগে থাকি, কোন একদিন ভ্রমণে যাবো- হিজল বনে।

সন্ধ্যার কথা মনে পড়ে?
হাওয়া আর জল?
যেদিন ঠোঁটের ভাঁজে পুড়ে গেল ফুল
লবণ বাগানে ঝুলে থাকলাম চাষীর স্বরুপ।


ক্যামেলিয়া

তোমাকে নিয়ে কোন গল্প নেই - ক্যামেলিয়া
তোমার সাথে কোন গল্প নেই
তোমাকে বসিয়ে রেখে কোন গল্প হয়না
কবিতা কিংবা বাৎসায়ন পাঠ - ক্যামেলিয়া।

ক্যামেলিয়া- তুমি প্রার্থনা জানো? মানুষ যে করে
তোমার প্রার্থনায় কারে ডাকো?  সে কি জানে?

শহরে বাতি নিভে আসে আলোয় আলোয়
সূর্যের মুখে চুমো দিয়ে জাগো ক্যামেলিয়া,
হাতের নখে, পায়ের নখে এঁকে দাও
এঁকে দাও নদী ও ঢেউ
মানুষের শরীর, শহরের মানুষ
এঁকে দাও যৌবনে ঝুলে থাকা রাত
প্রেমিকের বুক, এঁকে দাও পৃথিবীর পাঁজর
যেখানে ঘুমাতে চাও  কোটি কোটি চুমোয়
প্রেমের বারন্দায় বসে গেয়ে উঠো- ক্যামেলিয়া।



চোখ

সে এক আশ্চর্য বেকুব চোখ;
মাছের চোখের মত জলের ভেতর
হামাগুড়ি দিয়ে খোঁজে পাতাল বুক।

কোথাও কোন স্পর্শে নেই 
তার শরীর কিংবা চুল,
শুধু অদ্ভুৎ এক ঘ্রাণ;
নাকের ভেতর, মনের দেয়াল জুড়ে
দেয় মাছরাঙা স্নান ।
তার প্রবাল শরীর ছুয়ে ঢেউ;
গ্রীবায় লেগে থাকা লবণ স্বাদ
নীল সমুদ্র ছাড়া জানেনি কেউ ।

[তবুও তার বেকুব লাল চোখ
হতচ্ছাড়া অদ্ভুৎ দুটি চোখ
সামলে উঠে ঝড়ে নত গাছের মতন।]

অথচ সহস্র কাল পরও
এক স্পর্শে জেগে উঠে মেঠো শরীর।



ফেরা

মনে হচ্ছে নিজের ভেতরেই ফিরছি-

নিজের বলে কিছুই ছিলনা,ঘুম কিংবা স্বপ্ন
অথচ ঘুমের ভেতর জেগে থেকেই ফিরছি।
ফেরার পথ ছিল বলে,আজ এই গল্পের রাত-
সমুদ্র রাতেও জাগে চাঁদের মতন,তবু
অন্ধকার ভাঙার শব্দে ঢেউগুলো কেমন যেন
অর্ধেক রমণীর মতো জেগে উঠে শৈবাল শরীর নিয়ে।

মনের ভেতর কুয়াশা জমে, তাই চোখেও অন্ধকার
ভাঙার শব্দ হয়,অথচ কথা ছিল মধ্যাহ্ন হাওয়ায়
চিলদের মত উড়ে, আকাশ দৃষ্টি সহ,পলকে
মাছের চোখের ভেতর ছায়া রোগ হই।

ফেরার পথেই ফিরতে হয়, ফিরছি বলে-

পথ জুড়ে মায়া, আর পিছনে পথ ধুলো
দৃষ্টিও যেন আটকে যায় আলোর ভেতর;
তবুও পিছনে তাকিয়ে কেবল ফেরার জন্য,
ফিরছিতো সেই বাষ্পীয় আদ্রতা মাখা যন্ত্রে চড়ে
প্রিয় ''বেলাভো'' শহরের দিকে।



চোখ ২

চোখের ভিতরেই চোখ রাখি
স্বর্ণ লতিকার মত ঝুলে থাকা চোখ, কুয়াশা দিনে
ঝরে পড়ে দূর্বা সবুজে সূর্য কণা,
ভাববার সময় হয়
একদিন এই মীন শরীর নিয়ে জেগেছিলাম
বস্তির পাশে, কেউ চোখ তুলে স্বপ্ন দেখিনি
চোখের ভেতরে চোখ রেখে
কুয়াশায় ভেঁজা দরপর বুকের উপর নেমে এসে
পুচ্ করে একটা দাগ টেনে, সরল কিংবা বক্র
কেউ বলেনি এখানে, এই দুধর্ষ রাতে
চোখের ভিতরে চোখ রেখে জেগে থাকা নিষেধ।



প্রেম

পাড় ভাঙ্গা নদী পাড়ে বসে থাকি
জলের কাছে কিছু চাইব বলে।

এরা সমুদ্রের মাতা
পাহাড়ের ফুল;
রমণীর মত কেঁদে উঠে বুকের পাশে।

আমরা নদী দেখতে যাই মধ্যরাতে
বাতাসের শব্দে কেঁপে উঠি আচমকা
রুপালী জলের উপর নেমে আসে চাঁদ
দেখতে থাকি তাদের অপলক চোখে।

আমরা বসে থাকি সূর্য ডুবা দৃশ্যে
দেখতে পাও?
জলের উপর ছায়া
ছুতে পারো?
ভাঙ্গা পাড়ের মতো শুয়ে পড়ি যখন তখন।


হত্যাংক

তোমাকে হত্যা করার আগেই আমার মৃত্যু হয়
মরার আগে বুঝেছিলে কি মৃত আমি
মৃতদের কথা বলতে নেই, তাই মরে যাই।

আমাকে হত্যা করার আগেই তোমার মৃত্যু হয়
মরার আগে জেনেছিলাম কি মৃত তুমি
মৃতদের চোখে দেখতে নেই, তাই এমন হয়।

আমাদের মরতে হয় বলে বেঁচে আছি
আর মৃতদের কোন  প্রান নাই - মৃত্যু নাই।



বুড়ো সকালে

এই বুড়ো সকালে রাতের গল্প থামে
মোরগের ঠোঁটে নেমে আসে অবাক সূর্য্য;
মৃত পাখির পালক ছড়াতে ছড়াতে আমাদের উঠোন
পেরিয়ে গেলে- এই বুড়ো সকালে
গাভীর ওলান হতে পবিত্র উষ্ণতা ডাকে।

আমাদের গ্রামে এখন তুমুল বর্ষা-
হিজল ফলের মতো মানুষ
আর মানুষের মত প্রেম করে বেড়ায়
রাতের গল্পে ডুবা অন্ধ বাদুর।

সারারাত গল্প শেষে জেগে উঠে চোখ
প্রেমিকার হাতের মতো মলিন ধূসর চোখ।



প্রতিচ্ছবি

কোথাও কোন প্রতিচ্ছবি নেই, না আয়নায়, না জলে
তবু জানালার পর্দা ভেদ করে একটা অগোছালো  বিম্ব
ঢুকে পড়ে। কোথাও যাবার নেই, তাই ঘুমিয়ে পড়ি আমাদের
ভেতর, ঠোঁটের কাছে বক্রাকার ঘুরি পৃথিবীর মতো একই জায়গায়।

সেই সব বিছানাপাতি আমাদের ছিল না,
আমরা আমাদের ছিলাম কি না জানিনা।
তবু জেগে উঠে দেখলাম, জেগে আছে চোখ,
এই অন্ধকারে নিজেদের উপর। নিজেরা গল্প করি নিজেদের।

আহা!  এত সুর কোথা হতে এলো,
এই চুলগুলো এমন কেন
এমন ধূসর রঙ এই খয়েরী আলোয়?

এত অশ্লীল মুগ্ধতায় ভিঁজে নিজেদের গিলি
চিনব বলে আঙুলগুলো চিবিয়ে দেখি
জেগে আছি তাই চোখের উপর নেমে আসি।


পতন সংক্রান্ত

আমাদের পাড়ায় কোন মদের দোকান নাই অথচ নিজেকে
সব সময় মাতাল ভাবি। দখিন জানালায় বসে গান গাই, সন্ধ্যায়
প্রার্থনায় বসি। বন্ধুর সাথে বান্ধবীর গল্প আর পরকিয়া প্রেমের
টানে ছুটে যাই আদি গৃহতলে। আমি সংসারী হয়ে উঠি, বোকা
বাক্সের পর্দায় চোখ রেখে- পিঙ্গল চুল ওয়ালা নায়িকা দর্শনে ডুবে যাই।

আমাদের ঘরের দেয়াল এত নরম যে প্রতিদিন খসে পড়ে রং
করা আস্তর। ঘুলঘুলি দিয়ে প্রতিনিয়ত ঢুকে পড়ে গৃহত্যাগী
প্রবীন বায়ু। প্রকৌশলীর নোট থেকে জানতে পারি ইজা, জমার
প্রকৃত হিসাব, যদিও ঋণী বলে অনেক আগে থেকেই দেউলিয়া
খাতায় নাম উঠে গেছে। শুধু কোথাও কোন ছবি নাই বলে কেউ
চিনতে পারেনা।

পতনরত পাতারা কোন শব্দ করেনা - এমন মিথ্যে বয়ান করেছি
বহুকাল। শীত মৌসুমে শুকনো পাতার উপর পা রেখে জানতে
চেয়েছি পথের দূরত্ব। সন্ধ্যায় পাখিদের উড়াল দৃশ্যে দেখে কতবার
ভেসে গেছি সূর্য পানে। সুগন্ধি ফুলের সুবাসে মত্ত ভ্রমরের ডানায় চড়ে
ঘুরে বেড়িয়েছি বঁইচি বাগান। ঝুলে থাকা হিজল ফলের মতন দুলতে
থাকায় লোকেরা ভাবতো- নৌকায় বসিয়ে দিলে পৌছে যাবো
দরিয়ার পাড়ে।  


কবি বিষয়ক

কবিকে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও যেতে হয়। এই যেমন-
সকালের কোমল হাওয়ায় গা ধুয়ে আসেন কাসপিয়ান সাগর হতে
অথবা গোয়াল ঘরের বারন্দায় বসে শুকতে থাকেন গাভীর ওলান
হতে ভেসে আসা কোমল উষ্ণতা।

তার দিনের শুরু নেই বলে, শেষও নেই। কবি সব সময় পৌছে যান
তার নিজের আগে। ভাদ্রের রোদের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ান কাশফুল
বাগানে। যত্রতত্র ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আছে, যদিও তার চোখ নেই
বলে কাদঁতে পারেন না।


কবি অন্ধ হলেও চশমা পড়েন অথবা চশমা পড়লেও তিনি ঝাপসা
দেখেন। তিনি শিশির ঝরে পড়ার শব্দ শুনতে পান। শুকনো পাতার
উপর হাটতে হাটতে পিয়ানো বাঁজান। 

একদিন একরাত করে রোগ বাড়তে থাকে। নিজের শরীরের ভেতর
শুয়ো পোকার মত- বেঁচে থাকার আনন্দ নিয়ে পান করেন গোধূলি
আলো। কবির হৃদয়ে কোন আলিঙ্গন নেই কিংবা পরস্পর কথা
বলার অদৃশ্য দেয়াল।

কবি কেন এত চোখের রোগে ভুগেন?


তবুও পৃথিবীতে ঠিকে থাকা অন্যান্য  বাষ্পযন্ত্রের মত কবিকে বেঁচে
থাকতে হয়, দেয়ালের আলোয় নিজের ছায়া হয়ে কিংবা ছায়ার ভেতর
এক আগুন্তুক তেলাপোকার রুপ ধরে, আর ক্ষয়ে যাওয়া চোখের
দৃশ্যে প্রতিদিন ডুবতে হয় একান্ত নিজস্ব জানালায়।





মানুষ অথবা পাখি অথবা পিঁপড়া এবং আরো কিছু কবিতা


ভ্রমণ আর বিভ্রম


যদিও বহুকাল হাটিনা তবু ভ্রমণে যাই- পাখির চোখ নিয়ে। দেখি সকালের আলোয় একটি মাত্র শিয়াল হাটতে থাকে নিজের ছায়া সহ। আমি উড়তে থাকি, স্তন্যপায়ী পাখির ডানা নিয়ে। 

দূরে সন্ধ্যা নামে। আমার চোখের সীমারেখায় বাদুরের চলাচল। ঘুমন্ত ফসলের উপর ঘুমিয়ে পড়ি। অগণিত রাত-পোকা চন্দন কাঠ পুড়াতে থাকে- মানুষের গন্ধ পেতে আমার সনাতন নাক হাওয়ার ভাঁজে ওৎ পেতে রয়। 

যেন বহুকাল ধরে আমার জানলায় কোন পাখি বসেনা। পালক ঝরার শব্দে আর সব রাতের মত অন্ধকার যদি পলাতক হয়- এই ভেবে আমি বহুবার ভ্রমণে যাই। কোথাও পৌছার আগে ঘোষণা হয়- মৃত পাখির চোখ অন্ধ হতে পারেনা। 

তবুও আমি ভ্রমণের স্মৃতি পুন্জীবিত করি। 



০৩/০২/১৯
সুইন্টন


হয়তো যাবো, হয়তো যাবোনা


পবিত্র দরজা ভুলে হাটতে থাকি, যদিও গাভীর ওলানের উষ্ণতা আমায় প্রতারিত করেনা; আমি হাটতে থাকি পানে মগ্ন এক সারঙ্গী বাদকের দিকে।

এমন দুঃখ পোষা বুক নিয়ে পৃথিবীতে কেউ আসেনি। 

গুন্জনরত জোনাকির গান যে আমি শুনতে পাইনা, এ জন্য কারে তুমি অভিশাপ দিবে?

বরফের চাতাল জুড়ে মেতে থাকে দুপুরের ক্ষয়া রোদ। আমার ছায়ার উপর ভনভন ঘুরে বেড়ায় আমার শরীর। দূর জাহাজের প্রতি আমি পত্র লিখি।

ঝড়ের উষ্ণ হাওয়া যখন ছুয়ে যায় গুল্ম শাখা আর তুষার ঝরতে থাকে পায়ের কাছে- মনে হয় হাওয়ার শব্দের সাথে শবগীত গাইতে গাইতে কে যেন আমায় নিরলে চাইছে।

আমি হাটতে থাকি পাখির পথরেখা ধরে, পোষা কলরবে বারবার পেরিয়ে যাই পরিচিত উঠোন। মৃদুগন্ধী জবা ফুল নিয়ে আমি আর কোথায় যাবো? 

সংসারী হবো বলে প্রেমিকার কাছে যাই। গোপনে তারে নাম ধরে ডাকি। নদী পার ঘিরে যে সকল সবজী ক্ষেত শুয়ে থাকে- যে সকল আনন্দ নিয়ে মেঘরাজি আছড়ে পড়ে- তার মতো করে একদিন বিষাদ গীতিকা গাইতে গাইতে প্রেয়সীর বিন্যস্ত বুকে চুমো খাই।

যাবো বলে হাটতে থাকি। হয়তো যাবো, হয়তো যাবোনা। 


৫/০১/২০১৯
সুইন্টন 


দূর ও আমি

আমি কেন দূরে চলে যাই? কাগজের ফুলগুলো বাতাসে উড়ে। পৃথিবীর সীমানা দিয়ে এক ঝাক কালো পাখি- হরিৎ চিৎকারে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি কেন আরো দূর ভালবাসি? পুকুরের জলে ডুব দেয়া ভুলে গিয়ে হাটতে থাকি পাখিদের পিছে। অসুখে যারা আমায় ভাবতে থাকে- মনে হয়- আমার মন নিয়ে তারা লুকোচুরি খেলে। মাছেদের ভ্রমণে কে কে যায়? জলের গভীরে এক পৃথিবী আছে। চলার স্রোতে যে সকল নাবিকের সখ্য হয়- তারা পরস্পর আমার থেকে দূরে চলে যায়।


দূর থেকে দেখা যায় দূরের পাহাড়। মেঘেদের নিকট তলে এক সন্ন্যাস হাওয়া- যে জাদুকর তার হাত ভুলে গেছে। আমার পুলক নিয়ে রুপসী রাত- ভাসতে ভাসতে তবু সন্ধ্যার দিকে যায়। দূর থেকে দূর সীমার ভিতর এক আমি জেগে রই। পলকের আবরণ নিয়ে পৃথিবীর তলে দু'টি পা পাশাপাশি- দু'টি চোখ পাশাপাশি- কেবল ধীরগতি হয়ে আমার দিকে ধাবিত হয়। 

দূর থেকে আমি মেঘদের দেখি। পাখীর পালকের শব্দে তন্দ্রা আসে। অন্ধকার ছুয়ে ছুয়ে এক নীল অবতার- সকলের গোপন হয়ে নদীগামী হয়। জলের গভীর তলে এক পৃথিবী আছ। ফুলের চাষ ভুলে মাছেরা সংসারী হয়। 

 দূরের হাওয়া নিয়ে আমি ঘরে ফিরে যাই। এমন দেয়াল বুনি আমার চারপাশে- যেন কিছু পুতুল মাটির আসবাব নিয়ে তৈরি থাকে যাযাবার হওয়ার। কাল যেমন গত হতে হতে- আমার থেকে আমায় দূরে নিয়ে যায়। দূরে শহর আছে- গ্রাম আছে। জলের উপরে যে পৃথিবী থাকে-আমি তারে- তোমাদের সংসার বলি।



১২/০৫/১৯
সুইন্টন

আরো একটি স্বপ্নের বর্ণনা কিংবা অপবর্ণনা


আমি কোথাও যাবোনা বলে ঘুমিয়ে পড়ি
স্বপ্নে একটা হাঁস দেখি
সাদা হাঁস ভায়োলিন বাঁজাতে বাঁজাতে
কাছের বনের দিকে হাটতে থাকে

আমার পোষা কোন শিয়াল নেই
তবুও একটা শিয়াল মাছরাঙা পাখির মতন
মাথার কাছে সারারাত ধরে গান গায়

স্বপ্নে একটা বাদামী প্রজাপতি উড়ে
আয়নার কাছে আমার মতো এক অপরিচিত লোক বসে থাকে
আমি তারে দেখতে থাকি

আমি কোথাও যাবোনা বলে ঘুমিয়ে পড়ি


১৬/০৯/২০১৮
সুইন্টন



মানুষ অথবা পাখি অথবা পিঁপড়া


মানুষদের কাছে আবার পাখির মৃত্যু বিষয়ক গল্পটা বলতে হয়। তারা কিছু শোক বার্তা পৌছে দিতে চান মৃত পাখির আত্মীয়ের কাছে। পাখির স্মৃতি বিষয়ে তারা জিগ্যেস করেন- আমার সে সম্পর্কে কোন ধারণা নাই। 

একটা কালো পাখি কথা বলতে থাকে। আর সকল পাখিদের মতো সেও জানতে পেরেছে- পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রপতি এক অমাবস্যা রাতে মৃতপাখির জন্য বেদনা নিয়ে হাজির হবেন। শোকবইয়ে দুই বাক্য প্রাচীন শ্লোক লিখতে লিখতে তারা ক্লান্ত হয়ে গেলে আবার পাখির মৃত্য বিষয়ক গল্পটা শুনতে থাকবেন।

প্রথম পিঁপড়া। দ্বিতীয় পিঁপড়া। তৃতীয় পিঁপড়া। অসংখ্য পিঁপড়া মৃত পাখির গল্পটা বলতে বলতে ঘড়ির দিকে থাকায়। মানুষের জন্য যে সবচেয়ে বেশি বেদনা পোষে সে হলো ঘড়ি। মানুষ গল্পটা শুনতে থাকে। 


১৬/১১/১৮
ওল্ডহাম
নবীনতর পোস্টসমূহ পুরাতন পোস্টসমূহ হোম

Translate

বেলায়েত মাছুম

নির্বাচিত লেখা

মনে হয় আমি হাওয়া হয়ে যাই | বেলায়েত মাছুম

১. মনে হয় আমি হাওয়া হয়ে যাই। আব্বার কবরের পাশে অচেনা এক লোকের মতো বসে থাকি। ধীরে- দূর পাহাড় থেকে ভেসে ঘোরা মেঘের সাথে চলতে থাকি। ঘাসের সাথে ...

সেরা পাঁচ

  • ধান পাতারা উড়ে উড়ে যায় | বেলায়েত মাছুম
      হঠাৎ একদিন ধান পাতার কথা মনে পড়লো। ভাবি একদিন আমাদের বাড়ি থেকে  নেমেই ধানখেতের পাশে দাড়াই আর কয়েকটি ধান পাতা আমার মুখের উপর উড়তে থাকুক। ১....
  • সিলেটি ভাষায় কবিতা | আমারে কেউ কেউ পড়শি ভাবইন | বেলায়েত মাছুম
      ১. তুমার আত থাকি কুন্তা খাইলে তুমার চউখো চউখ পড়লে  আমি টাল অইজাই পাতা যেলা পরি থাকে ঘাসর উপরে মনো অয় আমিও পরি থাকি হারাদিন, বিয়ান থাকি হাই...
  • আমাদের দীর্ঘ সাক্ষাতকার বিষয়ে বই থেকে দশ কবিতা | বেলায়েত মাছুম
    নৈশ সভা নৈশ সভায় কোন গল্প হয় না পরস্পরের খোঁজ-খবর কিংবা পাখির কথা; নিশিতে যে ডেকে উঠে জানালার পাশে ঘাস কাটা যন্ত্রের শব্দ নিয়ে- তার কথা কোন...
  • দিনলিপি | বেলায়েত মাছুম
    ১. এইভাবে একদিন লিখে রাখি জানালার কথা, দক্ষিণের হাওয়ায় ভাসা ফুলের রেণু,পাখির পালক হতে গুনগুন আওয়াজ; শব্দের ভেতর কাঁপা শোভন আলো, পা...
  • গত হওয়া শীত কিংবা বসন্তের কবিতা গুচ্ছ | বেলায়েত মাছুম
    আজ ১লা ফাল্গুন। দেশে শীত শেষ হলেও শীতল ভাবটা নিশ্চয় রয়ে গেছে। ইংল্যান্ডেও শীত শেষ হয়ে আসছে, যদিও গত কয়েকদিন ধরে খুব ঠান্ডা আর ঝিরঝির তুষার...

গোলা । উগাড়

  • ►  2022 (6)
    • ►  ডিসেম্বর 2022 (1)
    • ►  নভেম্বর 2022 (1)
    • ►  অক্টোবর 2022 (1)
    • ►  জুলাই 2022 (1)
    • ►  মে 2022 (1)
    • ►  এপ্রিল 2022 (1)
  • ►  2021 (7)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2021 (1)
    • ►  জুলাই 2021 (2)
    • ►  জুন 2021 (1)
    • ►  মার্চ 2021 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2021 (2)
  • ►  2020 (9)
    • ►  অক্টোবর 2020 (1)
    • ►  সেপ্টেম্বর 2020 (1)
    • ►  জুলাই 2020 (1)
    • ►  জুন 2020 (1)
    • ►  মে 2020 (1)
    • ►  মার্চ 2020 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2020 (2)
    • ►  জানুয়ারী 2020 (1)
  • ▼  2019 (3)
    • ▼  অক্টোবর 2019 (1)
      • শেক্সপিয়ারের বাড়ি দর্শন | বেলায়েত মাছুম
    • ►  জুলাই 2019 (1)
      • ও জুলাই | বেলায়েত মাছুম
    • ►  মে 2019 (1)
      • মানুষ অথবা পাখি অথবা পিঁপড়া এবং আরো কিছু কবিতা | ব...
  • ►  2018 (5)
    • ►  ডিসেম্বর 2018 (1)
    • ►  জুন 2018 (1)
    • ►  মে 2018 (2)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2018 (1)
  • ►  2017 (6)
    • ►  আগস্ট 2017 (1)
    • ►  জুলাই 2017 (1)
    • ►  জুন 2017 (1)
    • ►  মার্চ 2017 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2017 (1)
    • ►  জানুয়ারী 2017 (1)
  • ►  2016 (8)
    • ►  ডিসেম্বর 2016 (3)
    • ►  জুলাই 2016 (1)
    • ►  জুন 2016 (1)
    • ►  মে 2016 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2016 (2)
  • ►  2015 (30)
    • ►  ডিসেম্বর 2015 (3)
    • ►  নভেম্বর 2015 (2)
    • ►  জুলাই 2015 (2)
    • ►  জুন 2015 (3)
    • ►  মে 2015 (7)
    • ►  এপ্রিল 2015 (6)
    • ►  মার্চ 2015 (1)
    • ►  ফেব্রুয়ারী 2015 (3)
    • ►  জানুয়ারী 2015 (3)
  • ►  2014 (8)
    • ►  নভেম্বর 2014 (4)
    • ►  অক্টোবর 2014 (4)
  • ►  2010 (17)
    • ►  আগস্ট 2010 (5)
    • ►  জুন 2010 (1)
    • ►  এপ্রিল 2010 (11)

বিষয়

অ-কথা অ-গদ্য কবিতা গান ছবি প্রেমের কবিতা ভ্রমণ English Poetry
Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Creative Commons License
This work is licensed under a Creative Commons Attribution-NonCommercial-NoDerivatives 4.0 International License.


আপনার সাহায্য পেলে বিদ্যানন্দের কাজ আরো সহজ হবে। বিস্তারিত জানতে ছবিতে ক্লিক করুন

অন্যজন

  • মীর রবি
  • মুনিরা মেহেক
  • মুরাদুল ইসলাম
  • সুহান রিজওয়ান

যোগাযোগ

নাম


ইমেল *


বার্তা *


Copyright By Belayat Masum | Designed By OddThemes | Distributed By Blogger Templates