কবি বিষয়ক

কবিকে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও যেতে হয়। এই যেমন- 
সকালের কোমল হাওয়ায় গা ধুয়ে আসেন কাসপিয়ান সাগর হতে
অথবা গোয়াল ঘরের বারন্দায় বসে শুকতে থাকেন গাভীর ওলান
হতে ভেসে আসা কোমল উষ্ণতা।

তার দিনের শুরু নেই বলে, শেষও নেই। কবি সব সময় পৌছে যান
তার নিজের আগে। ভাদ্রের রোদের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ান কাশফুল
বাগানে। যত্রতত্র ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আছে, যদিও তার চোখ নেই
বলে কাদঁতে পারেন না।

কবি অন্ধ হলেও চশমা পড়েন অথবা চশমা পড়লেও তিনি ঝাপসা
দেখেন। তিনি শিশির ঝরে পড়ার শব্দ শুনতে পান। শুকনো পাতার
উপর হাটতে হাটতে পিয়ানো বাঁজান। 

একদিন একরাত করে রোগ বাড়তে থাকে। নিজের শরীরের ভেতর
শুয়ো পোকার মত- বেঁচে থাকার আনন্দ নিয়ে পান করেন গোধূলি
আলো। কবির হৃদয়ে কোন আলিঙ্গন নেই কিংবা পরস্পর কথা
বলার অদৃশ্য দেয়াল।

কবি কেন এত চোখের রোগে ভুগেন?

তবুও পৃথিবীতে ঠিকে থাকা অন্যান্য  বাষ্পযন্ত্রের মত কবিকে বেঁচে
থাকতে হয়, দেয়ালের আলোয় নিজের ছায়া হয়ে কিংবা ছায়ার ভেতর
এক আগুন্তক তেলাপোকার রুপ ধরে, আর ক্ষয়ে যাওয়া চোখের
দৃশ্যে প্রতিদিন ডুবতে হয় একান্ত নিজস্ব জানালায়।



ওল্ডহাম/২০১৫