ভাবলাম পৃথিবীর দিকে চেয়ে থাকি
বিষন্ন একজোড়া চোখ দিয়ে।
ঘুরে আসি। ঘাসের শরীরে লেপ্টে রই। গ্রীষ্মের রোদে
যখন হাপিয়ে উঠে সাদা-সাদা ভেঁড়ার শরীর কিংবা শীত
এলে শরীরের ভিতর হতে যেমন ছড়িয়ে পড়ে কোমল
উষ্ণতা- মনে হয় এখানে রাত নামুক আর ঝুলে থাকি
অন্ধ বাঁদুরের মতো। এখন রাত গুলো আর তেমন নেই।
ওখানে কোন খামার-বাড়ি নেই;
হাস গুলো ডাকতে ডাকতে এদিকে আসেনা।
অনেকেই যায়, ফিরে আসে
সন্ধ্যার মেট্রো বাসে চড়ে- সব রাতে অন্ধকার জমেনা।
দেখতে আমরা যাইনা। পতিত জমির মতো অলস বসে
থাকি- সেদিন যেমন ফুলের ঠোঁটে বসে গেয়ে গেল পলকহীন
মাকড়সার দল। সমুদ্রের হাওয়া এদিকে আসেনা। শীতের
দিনগুলোর মতো-রাত গুলোর মতো।
এরা জানে কেমন করে নাচতে হয়;
দেব প্রতিটি বিকেল। সাদা-সাদা ভেঁড়ার পালের ভীড়ে লুকিয়ে
রাখবো রাত্রি গুলো। মাঝ রাতে যখন ঘুমিয়ে পড়ব- গান গেয়ে ফেরা
এক পাল বাদুরের অথবা কয়েক লক্ষ জ্বলতে থাকা জোনাকী পোকার
শরীর থেকে গন্ধ পাবো পুড়ে যাওয়ার। কোটি কোটি দিন পুড়ে যাওয়ার।
0 মন্তব্যসমূহ