১.
একটা ঘোর হাওয়ার ভিতর পড়ে আছি আমি
সহজ রোদের পিঠে বসে থাকি রোজ
যদি ডুবে যাই—
যদি ডুবো জাহাজ নিয়ে যেত দূর
একটা ঘোর হাওয়ার ভিতর পড়ে আছি আমি।
এমন আনন্দ আমার জানালা ঘিরে
পাখিদের মধুর সংলাপ
পাতায় পাতায় কানকথা
আর পিঁপড়েরা ফিরে চলেছে বাড়ি।
আলনায় গেঁথে আছে শীতের হাওয়া
আমি শুয়ে থাকি
আসমান ভিঁজে আছে কোমল মেঘে,
যদি ঝরে যায়
যদি ঝড়ের রাতেই ডুবে যায় নদী
একটা ঘোর হাওয়ার ভেতর পড়ে আছি আমি।
০৪/০১/২৪
২.
পাতারা উড়ে যাচ্ছে শীতের হাওয়ায়
ভেঁজা সন্ধ্যায় হয়তো ফিরবো বাড়ি—
হয়তো আমার খুজে— তোমার মতো কেউ
ডেকে ডেকে চলে যাবে নদীতীর ধরে,
পৃথিবীর পথে—
এই পৃথিবীর পথে আমাদের দেখা হয়ে যাবে।
০১/০৪/২০২৪
৯.
সাড়ে তিন দিন কেটে গেছে মাতাল
পুকুর পারে—
গোসলহীন, বস্রাবৃত হয়ে।
ঘাসেরা কামুক হতে পারে—
কিংবা লজ্জায় লাল?
আমার শরীল ছুয়ে
নেমে গেলো জল— সন্ধ্যা কুয়াশার—
আর পাখিদের ঠোঁট চুমোয় রাঙা—
উড়ে গেল শিকার, গভীর ধ্যানে।
আরো সাড়ে তিন দিন যায় যায় করে
মাতাল হলাম না আর—
তবু ঘাসের উপর হামাগুড়ি দেই—
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আসি,
তিনটি রাজ হাস উড়তে আছে
বন্ধ চোখে দৃশ্যটা দেখতে থাকি।
০৬/০৫/২৪
১০.
ধুম করে শীত নেমে আসে
হৃদয়ের গভীরে এক জঙ্গল—
একটা কালো পাখির বাসা।
এপ্রিল শেষ হয়ে এলো
আগাম বার্তা ছাড়াই শীত নেমে আসে।
আমার পথ নেই ফেরার
শীতের জামা পরে বেরিয়ে পড়ি
চারদিক কুয়াশায় বুদ,
আর যেন সেই পাখি
আমার নাম ধরে ডাকতে থাকে।
তোমার বাড়ি কোথায়
জানতে চেয়ে চিঠি লিখিনি আর,
শীত শেষ হয়ে এলো—
ফেরার তাড়া যদি থাকে
উড়োজাহাজ আমায় নিতে পারে
তোমার দরজার দিকে—
যে জানালায় তুমি মগ্ন চেয়ে থাকো।
১১/০৫/২৪
©বেলায়েত মাছুম
একটা ঘোর হাওয়ার ভিতর পড়ে আছি আমি
সহজ রোদের পিঠে বসে থাকি রোজ
যদি ডুবে যাই—
যদি ডুবো জাহাজ নিয়ে যেত দূর
একটা ঘোর হাওয়ার ভিতর পড়ে আছি আমি।
এমন আনন্দ আমার জানালা ঘিরে
পাখিদের মধুর সংলাপ
পাতায় পাতায় কানকথা
আর পিঁপড়েরা ফিরে চলেছে বাড়ি।
আলনায় গেঁথে আছে শীতের হাওয়া
আমি শুয়ে থাকি
আসমান ভিঁজে আছে কোমল মেঘে,
যদি ঝরে যায়
যদি ঝড়ের রাতেই ডুবে যায় নদী
একটা ঘোর হাওয়ার ভেতর পড়ে আছি আমি।
০৪/০১/২৪
২.
পাতারা উড়ে যাচ্ছে শীতের হাওয়ায়
পা নিয়ে কোথাও যাচ্ছি আমি
ধুলোরা উড়তে পাড়ছে না, কিন্তু হাঁস
ঝাপিয়ে পড়ছে অগভীর জলের উপর।
আগুনের তাপে ঝুলে আছি
সন্ধ্যায় ফেরা পাখিরা কিছুটা উৎসুক
কিছুটা নরম ঘাসের মতন টলতে থাকি।
ধুলোরা ভাবে পাতারা মাতাল
হাওয়ার ঘোরে পড়ে আছে সমস্ত বিকাল
দরজা আলগা করে তাকিয়ে আছে হাসি
আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ছে শীতের হাওয়া।
০৫/০১/২৪
৩.
আগুন থেমে আছে আমার চারপাশে
নদী তীর ধরে নিরালা হেটে যাই
তবু এমন উত্তাপ
জ্বরের মাতম হয়ে উতলে পড়ছে গায়।
অতলে আমার ঠাই নাই
ছায়ার পরতে বুঝি হারিয়ে ফেলেছি খোঁজ
কোন পথুয়া লোক
আমার এই আগুনের পাশে থামে,
ভাবি ডুবো যাবো
তাপ নির্ভর সরিসৃপ যেমন রয়।
গোপনে পুড়ে যাচ্ছে রোদ
শব্দের কোলাহল নিয়ে হয়তো আজ
দাড়াবে তোমার উৎসুক চোখ।
০৮/০১/২৪
৪.
শীতের হাওয়ার ভিতর বসে আছি নদী
কে বাঁজাবে ঝুমুর?
দরজায় তোমার ঠোকা নেই
একটা চাঁদ—
তুষার আড়াল করে ডাকছে রোজ।
শান্ত নদীর কাছে মাতাল সরোদ
সুরের আংটা ধরে
ভেঁজা ঘাসের উপর রাঙা কয়েক আঙুল
ডাকছে তুমুল করে
চাঁদের আলোয় একটি রঙিন পোকা
ঝিঁঝিঁ ঝিঁঝিঁ ঝিঁঝিঁ
কার নাম পড়ে আছে জলে।
জলের ভিতর বসে আছে নদী
তার ঘ্রাণ উড়ে যায় মাতাল হাওয়া ধরে।
১৯/০১/২৪
৫.
সব কথা ফিরে ফিরে আসছে ফিরে
গোলাপের রং আরো কিছুটা মলিন
দরজায় নেই খিল—
উৎসুক হাওয়ারা ঢুকে পড়ছে রোজ রোজ।
মাতাল পাতার মত আমি
করছি প্রতিদিন কিছু শব্দ গোপন—
তোমার চোখের পাতা জুড়ে মায়াবী ছায়া
ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দে চমকিত আঁধার
হাটতে গিয়ে ফুরিয়ে যাচ্ছে
ঘোর মাখা মগ্ন তন্দ্রাল কোটি বছর।
সব, সব ফিরে ফিরে আসছে আবার ফিরে।
ধুলোরা উড়তে পাড়ছে না, কিন্তু হাঁস
ঝাপিয়ে পড়ছে অগভীর জলের উপর।
আগুনের তাপে ঝুলে আছি
সন্ধ্যায় ফেরা পাখিরা কিছুটা উৎসুক
কিছুটা নরম ঘাসের মতন টলতে থাকি।
ধুলোরা ভাবে পাতারা মাতাল
হাওয়ার ঘোরে পড়ে আছে সমস্ত বিকাল
দরজা আলগা করে তাকিয়ে আছে হাসি
আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ছে শীতের হাওয়া।
০৫/০১/২৪
৩.
আগুন থেমে আছে আমার চারপাশে
নদী তীর ধরে নিরালা হেটে যাই
তবু এমন উত্তাপ
জ্বরের মাতম হয়ে উতলে পড়ছে গায়।
অতলে আমার ঠাই নাই
ছায়ার পরতে বুঝি হারিয়ে ফেলেছি খোঁজ
কোন পথুয়া লোক
আমার এই আগুনের পাশে থামে,
ভাবি ডুবো যাবো
তাপ নির্ভর সরিসৃপ যেমন রয়।
গোপনে পুড়ে যাচ্ছে রোদ
শব্দের কোলাহল নিয়ে হয়তো আজ
দাড়াবে তোমার উৎসুক চোখ।
০৮/০১/২৪
৪.
শীতের হাওয়ার ভিতর বসে আছি নদী
কে বাঁজাবে ঝুমুর?
দরজায় তোমার ঠোকা নেই
একটা চাঁদ—
তুষার আড়াল করে ডাকছে রোজ।
শান্ত নদীর কাছে মাতাল সরোদ
সুরের আংটা ধরে
ভেঁজা ঘাসের উপর রাঙা কয়েক আঙুল
ডাকছে তুমুল করে
চাঁদের আলোয় একটি রঙিন পোকা
ঝিঁঝিঁ ঝিঁঝিঁ ঝিঁঝিঁ
কার নাম পড়ে আছে জলে।
জলের ভিতর বসে আছে নদী
তার ঘ্রাণ উড়ে যায় মাতাল হাওয়া ধরে।
১৯/০১/২৪
৫.
সব কথা ফিরে ফিরে আসছে ফিরে
গোলাপের রং আরো কিছুটা মলিন
দরজায় নেই খিল—
উৎসুক হাওয়ারা ঢুকে পড়ছে রোজ রোজ।
মাতাল পাতার মত আমি
করছি প্রতিদিন কিছু শব্দ গোপন—
তোমার চোখের পাতা জুড়ে মায়াবী ছায়া
ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দে চমকিত আঁধার
হাটতে গিয়ে ফুরিয়ে যাচ্ছে
ঘোর মাখা মগ্ন তন্দ্রাল কোটি বছর।
সব, সব ফিরে ফিরে আসছে আবার ফিরে।
১৯/০১/২৪
৬.
রোদের দিকেই পিঠ তাক করে রাখি
কোমল রোদে—
আর কিছুটা উষ্ণ হাওয়া—
আমার চুলগুলো এলো করে যায়।
দেরাজ বেডে শুয়ে আছে মলিন জামা
সুগন্ধ মাখা পাখির পালক—
উড়তে যাবো মনে মনে ভাবি
কত দূর— কত দূর গেলে আমি হবো নাই,
সহজ কিছু শব্দের স্বর—
আমার কান ধরে বসে থাকে রোজ।
রোদের গল্পে হয়তো ডুবে আছি
হয়তো কিছুটা আমার শরীল নিয়ে—
মৃত কোন দরজায় শুয়ে রবো—
নিরালা মদের নেশায় ডুবে।
১৫/০২/২০২৪
৭.
তোমার কন্ঠেই মেতে আছে বুদ—
শহরের উপকন্ঠে উপচে পড়ছে হাওয়া—
তোমার থেকে দূর বাঁধি যে ঘর
শংকা নিয়ে যায় আমায় অতল—
ডুবতে ডুবতে তোমার কন্ঠই শুনি
সুরের রোশনি ধরে—
আমার মাতাল হৃদয়—
কোন এক দূরের নাম ধরে ডাকে।
আমি কী এই পৃথিবীতে নাই—
হাওয়ার ভাঁজ খুলে তোমার শব্দই খুজি।
যদি অতল ঘিরে—
আমার পথগুলো মেতে থাকে
আর উৎসব থেমে যায়—
তোমার কন্ঠেই মেতে আছে বুদ—
হাওয়ার শব্দে এমন মাতম পাই।
১৪/০৩/২০২৪
৮.
পৃথিবীর পথগুলো
আমার দিকে তাকিয়ে আছে—
হেটে যাব দূর সুরালয় ধরে
যেখানে আমার মত কিছু লোক
সংসারহীন—
প্রেমহীন— আবস্র শুয়ে আছে।
শুয়ে শুয়ে আকাশের নগ্ন পায়
পরাবো নুপুর—
মাথার ভিতর বাঁজতে রবে,
আর আমি মাতার পথিকের মতো
পৃথিবীর পথে পথে—
কোন প্রচলিত সুরে গান গেয়ে যাব,
হাওয়ায় ভেঁজাবো শরীল—
৬.
রোদের দিকেই পিঠ তাক করে রাখি
কোমল রোদে—
আর কিছুটা উষ্ণ হাওয়া—
আমার চুলগুলো এলো করে যায়।
দেরাজ বেডে শুয়ে আছে মলিন জামা
সুগন্ধ মাখা পাখির পালক—
উড়তে যাবো মনে মনে ভাবি
কত দূর— কত দূর গেলে আমি হবো নাই,
সহজ কিছু শব্দের স্বর—
আমার কান ধরে বসে থাকে রোজ।
রোদের গল্পে হয়তো ডুবে আছি
হয়তো কিছুটা আমার শরীল নিয়ে—
মৃত কোন দরজায় শুয়ে রবো—
নিরালা মদের নেশায় ডুবে।
১৫/০২/২০২৪
৭.
তোমার কন্ঠেই মেতে আছে বুদ—
শহরের উপকন্ঠে উপচে পড়ছে হাওয়া—
তোমার থেকে দূর বাঁধি যে ঘর
শংকা নিয়ে যায় আমায় অতল—
ডুবতে ডুবতে তোমার কন্ঠই শুনি
সুরের রোশনি ধরে—
আমার মাতাল হৃদয়—
কোন এক দূরের নাম ধরে ডাকে।
আমি কী এই পৃথিবীতে নাই—
হাওয়ার ভাঁজ খুলে তোমার শব্দই খুজি।
যদি অতল ঘিরে—
আমার পথগুলো মেতে থাকে
আর উৎসব থেমে যায়—
তোমার কন্ঠেই মেতে আছে বুদ—
হাওয়ার শব্দে এমন মাতম পাই।
১৪/০৩/২০২৪
৮.
পৃথিবীর পথগুলো
আমার দিকে তাকিয়ে আছে—
হেটে যাব দূর সুরালয় ধরে
যেখানে আমার মত কিছু লোক
সংসারহীন—
প্রেমহীন— আবস্র শুয়ে আছে।
শুয়ে শুয়ে আকাশের নগ্ন পায়
পরাবো নুপুর—
মাথার ভিতর বাঁজতে রবে,
আর আমি মাতার পথিকের মতো
পৃথিবীর পথে পথে—
কোন প্রচলিত সুরে গান গেয়ে যাব,
হাওয়ায় ভেঁজাবো শরীল—
ভেঁজা সন্ধ্যায় হয়তো ফিরবো বাড়ি—
হয়তো আমার খুজে— তোমার মতো কেউ
ডেকে ডেকে চলে যাবে নদীতীর ধরে,
পৃথিবীর পথে—
এই পৃথিবীর পথে আমাদের দেখা হয়ে যাবে।
০১/০৪/২০২৪
৯.
সাড়ে তিন দিন কেটে গেছে মাতাল
পুকুর পারে—
গোসলহীন, বস্রাবৃত হয়ে।
ঘাসেরা কামুক হতে পারে—
কিংবা লজ্জায় লাল?
আমার শরীল ছুয়ে
নেমে গেলো জল— সন্ধ্যা কুয়াশার—
আর পাখিদের ঠোঁট চুমোয় রাঙা—
উড়ে গেল শিকার, গভীর ধ্যানে।
আরো সাড়ে তিন দিন যায় যায় করে
মাতাল হলাম না আর—
তবু ঘাসের উপর হামাগুড়ি দেই—
সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে আসি,
তিনটি রাজ হাস উড়তে আছে
বন্ধ চোখে দৃশ্যটা দেখতে থাকি।
০৬/০৫/২৪
১০.
ধুম করে শীত নেমে আসে
হৃদয়ের গভীরে এক জঙ্গল—
একটা কালো পাখির বাসা।
এপ্রিল শেষ হয়ে এলো
আগাম বার্তা ছাড়াই শীত নেমে আসে।
আমার পথ নেই ফেরার
শীতের জামা পরে বেরিয়ে পড়ি
চারদিক কুয়াশায় বুদ,
আর যেন সেই পাখি
আমার নাম ধরে ডাকতে থাকে।
তোমার বাড়ি কোথায়
জানতে চেয়ে চিঠি লিখিনি আর,
শীত শেষ হয়ে এলো—
ফেরার তাড়া যদি থাকে
উড়োজাহাজ আমায় নিতে পারে
তোমার দরজার দিকে—
যে জানালায় তুমি মগ্ন চেয়ে থাকো।
১১/০৫/২৪
©বেলায়েত মাছুম
মে/ ২০২৪/প্যারিস
0 মন্তব্যসমূহ