পৃথিবীতে আরো একটি বছর চলে গেল বা যাচ্ছে কিন্তু কোন মতেই যুদ্ধ-বিগ্রহ থামছেই না। আগামীতে থামবে এমন কোন ইশারাও নাই। তবু আশা রাখি পৃথিবীর সকল জায়গা একদিন শান্তিময় হবে।
১.
আমি যাইনি উড়ে হাওয়ার সাথে
তবু সেই গল্প শোনাই
পাথরের উপর বসে দেখছি প্রজাপতির ওড়া
একদিন ডুবে যেতে যেতে
গভীর অতল ছুয়ে বুঝেছি
আমার উড়তে নেই কোন ডানা।
২.
কোন অবকাশ নেই
মেঘ ঝরে গেল পথুয়া ধুলোয়
আশংকা নিয়ে ফিরে আসি
যদি এমন করে দিনগুলো চলেই যায়
আর আয়না
কার মুখোমুখি হবে
সকল ব্যথার উপশম হয়ে।
৩.
দরজা খোলা আছে
তবু রোদ, তবু হাওয়া মানছে না নিমন্ত্রণ
কোথায় চলে যাচ্ছে কথার ফোয়ারা
আর পাতারা উড়তে উড়তে
আমার দুয়ার আরো নিসংগ করে
পালিয়ে বেড়াচ্ছে সমুদ্র পর্বত ধরে।
৪.
আজ কোন কথা হবে না
সারাদিন মাতালের মতো উড়বো
দরোজায় থাকবে তালা
সমুদ্র স্নান শেষে ফিরে আসবো বাড়ি।
আমারে খুজতে হয়তো কেউ কেউ যাবে
ঘরের উপর ছোট্ট হিজল গাছ
ঝরা ফুলের তলে
আমার মাতাল দেহখানি।
উড়তে উড়তে ক্লান্ত হবো না কি
আবার ঘুরতে যাবো আমাকে নিয়ে
কোথায় এমন বাগান আছে
যেখানে নিদ্রা যাবো মুগ্ধ অবসরে।
৫.
চেনা মুখের ছবি আঁকতে থাকি
আমার বুকের ভিতর
আয়নায় ডুবে যাচ্ছে সকল অবয়ব,
হাত কেঁপে উঠছে
আঁকতে আঁকতে
কার মুখের ছবি আঁকছি
অন্ধ আমার চোখ খুজে পাচ্ছে না
সেই চেনা অবয়ব।
৬.
সব রাস্তাই ফিরে গেছে বাড়ি
আমি কেন মিছে পথে পথে ঘুরি
বুঝিনা হাওয়ার এত কারসাজি
তবু কেন মিছে মিছে পথে ঘুরি।
৭.
ফেরার তাড়া নেই, তবু ফিরি
সন্ধ্যার হাঁসের মত।
যদি হারিয়ে যাই বর্ষার তুমুল জলে
কে নাম ধরে ডাকবে।
তাড়া নাই,
ফিরবো এমন ঘরের জানালা কোথায়?
তবু ফিরবো
ডাক না দিলেও ফিরবো।
৮.
দরজায় কে টোকা দিলো
আগুন্তুক?
শব্দের আড়ালে বসে আছি
বঁধির কানে তবু সুরের পেয়ালা
ঝন ঝন বেঁজ উঠছেই।
৯.
গোলাপের বাগান হতে কিছু কাঁটা
কুড়িয়ে এনে সাঁজালাম ঘর।
ফুলদানী পড়ে রইল
ব্যথার নদীটি চিরচেনা ঘাসের মত
বুকের বারান্দায় শুকিয়ে গেল।
১০.
মৃত মাছেরা পাতে উঠে এলো
আমার চোখের দিকেই সকল চোখ
অপলক
কাচের গ্লাস ভরা আঙুর মজানো শরবত
মাতাল চোখের চারপাশ ঘুরে
নাচতে আছে অবিরত
মানুষ হলাম না আর
তবু ব্যথার শব্দ উতলে উঠছে
আর
নদী তলিয়ে যাচ্ছে
ঘুঙুর পড়া মৃত মাছের সৎকারে।
২৪.১২.২৩
ভলতেয়ার, প্যারিস
তবু সেই গল্প শোনাই
পাথরের উপর বসে দেখছি প্রজাপতির ওড়া
একদিন ডুবে যেতে যেতে
গভীর অতল ছুয়ে বুঝেছি
আমার উড়তে নেই কোন ডানা।
২.
কোন অবকাশ নেই
মেঘ ঝরে গেল পথুয়া ধুলোয়
আশংকা নিয়ে ফিরে আসি
যদি এমন করে দিনগুলো চলেই যায়
আর আয়না
কার মুখোমুখি হবে
সকল ব্যথার উপশম হয়ে।
৩.
দরজা খোলা আছে
তবু রোদ, তবু হাওয়া মানছে না নিমন্ত্রণ
কোথায় চলে যাচ্ছে কথার ফোয়ারা
আর পাতারা উড়তে উড়তে
আমার দুয়ার আরো নিসংগ করে
পালিয়ে বেড়াচ্ছে সমুদ্র পর্বত ধরে।
৪.
আজ কোন কথা হবে না
সারাদিন মাতালের মতো উড়বো
দরোজায় থাকবে তালা
সমুদ্র স্নান শেষে ফিরে আসবো বাড়ি।
আমারে খুজতে হয়তো কেউ কেউ যাবে
ঘরের উপর ছোট্ট হিজল গাছ
ঝরা ফুলের তলে
আমার মাতাল দেহখানি।
উড়তে উড়তে ক্লান্ত হবো না কি
আবার ঘুরতে যাবো আমাকে নিয়ে
কোথায় এমন বাগান আছে
যেখানে নিদ্রা যাবো মুগ্ধ অবসরে।
৫.
চেনা মুখের ছবি আঁকতে থাকি
আমার বুকের ভিতর
আয়নায় ডুবে যাচ্ছে সকল অবয়ব,
হাত কেঁপে উঠছে
আঁকতে আঁকতে
কার মুখের ছবি আঁকছি
অন্ধ আমার চোখ খুজে পাচ্ছে না
সেই চেনা অবয়ব।
৬.
সব রাস্তাই ফিরে গেছে বাড়ি
আমি কেন মিছে পথে পথে ঘুরি
বুঝিনা হাওয়ার এত কারসাজি
তবু কেন মিছে মিছে পথে ঘুরি।
৭.
ফেরার তাড়া নেই, তবু ফিরি
সন্ধ্যার হাঁসের মত।
যদি হারিয়ে যাই বর্ষার তুমুল জলে
কে নাম ধরে ডাকবে।
তাড়া নাই,
ফিরবো এমন ঘরের জানালা কোথায়?
তবু ফিরবো
ডাক না দিলেও ফিরবো।
৮.
দরজায় কে টোকা দিলো
আগুন্তুক?
শব্দের আড়ালে বসে আছি
বঁধির কানে তবু সুরের পেয়ালা
ঝন ঝন বেঁজ উঠছেই।
৯.
গোলাপের বাগান হতে কিছু কাঁটা
কুড়িয়ে এনে সাঁজালাম ঘর।
ফুলদানী পড়ে রইল
ব্যথার নদীটি চিরচেনা ঘাসের মত
বুকের বারান্দায় শুকিয়ে গেল।
১০.
মৃত মাছেরা পাতে উঠে এলো
আমার চোখের দিকেই সকল চোখ
অপলক
কাচের গ্লাস ভরা আঙুর মজানো শরবত
মাতাল চোখের চারপাশ ঘুরে
নাচতে আছে অবিরত
মানুষ হলাম না আর
তবু ব্যথার শব্দ উতলে উঠছে
আর
নদী তলিয়ে যাচ্ছে
ঘুঙুর পড়া মৃত মাছের সৎকারে।
২৪.১২.২৩
ভলতেয়ার, প্যারিস
0 মন্তব্যসমূহ