২০১৮ সাল প্রায় শেষ, মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। এই বছরে আমার খারাপ দিক হলো যে প্রচুর মিথ্যে কথা বলতে হয়েছে। আর কিছুটা অসৎও হয়ে গেছি। আর ভাল দিক হলো শরীরের অসুখ কমছে এবং দু'চারজনের কাছে আমার মিথ্যা বলার অপরাধ স্বীকার করেছি।
গত কয়েক বছরের তুলনায় এই বছর অনেক গুলো বই পড়তে পেরেছি, প্রায় বিশটি হবে। আর সবচেয়ে কম লিখেছি- মনেহয় কেউ যদি অসৎ হয়ে যায়- মিথ্যে ডুবে থাকে- তার থেকে শিল্প দূরে চলে যায়।
জগতের সকল প্রাণী সুখি হোক।
১.
|| কার বাড়ি তুমি ফিরে যাবে ঘড়ি, বাতির ছায়ার নিছে
শুয়ে আছে ঝড়। অকাল পুরান সেই নদী তীর বেয়ে
তোমারেও যেতে হয় ঘর। কালো পাখির বাসা থেকে দূর-
আগত ফুলের সুরভি ঝরে। পিনের মতোন এক তীব্র আঁধার,
ছুয়ে যায় ঘড়ি সেই ম্লান ভোরে ||
২.
|| হাওয়ার কি সংসার হয়
পাতাদের মতো?
ঝরে যাওয়া দিনে
বরফ জমিয়ে সময়ের ঘরে।
পুরনো হাওয়া কল
পড়শী ধুতরা ফুল
মাতিয়ে ফিরে গেছে বনে।
বনেলা হাওয়ার ঘোর
ধুলোর ডানায় চড়ে
ওৎ পেতে রয়-
ওৎ পেতে রয়-
শব-গান গীতে ||
৩.
|| আমার হাতকে লোকে ভাবে মানুষের হাত
আর ইশ্বর ভাবেন তার নিজের
আমি ভাবি এক উদ্বিগ্ন পাখির স্মৃতি
পুরনো পিন্জিরায় সেই তোতার কথা ||
পুরনো পিন্জিরায় সেই তোতার কথা ||
৪.
|| পাখিদের অভিনন্দন- তারা উড়তে জানে ||
৫.
|| মা পাখি পাতার গল্প বলে, হলদে পাতার- ঝরা পাতার-
একদিন বহুমুখী হাওয়ার চোখে চোখ রেখে ||
৬.
|| আমার আঙুল চুষে পরিচিত কেউ
আমার আঙুলে লেগে আছে অতি প্রাচিন দাগ
জামার ভাঁজ খুলে ডাকছে বিভোর কেউ
জানালায় সন্তুর মতো চোখ নিয়ে কে?
ভাঙা কর্পুরে মেতে আছে সে
হাওয়ায় কল কল ধ্বনি আর বিভাজিত ঘর
টুপটাপ জলের বাড়ছে অসুুখ;
সে তবে যেন কেউ নয় আর
আমার বাড়ছে দ্বিধা প্রতিপ্রহর।
তাপে সহিষ্ণু মাকড়ের জাল
চারপাশ ঘিরে-
চারপাশ ঘিরে-
সে আর আমি
আরো আধাঁর।
আমার আঙুল বেয়ে ঝরছে পাঁপড়
তার গতরে ফুটে আছে বনেলা ঘ্রাণ ||